এদিন ভারতের জয়ের পর কোহলির তির্যক মন্তব্য, 'আমরা ডিআরএস নিয়ে সড়গড় হয়ে উঠতে পারিনি। তাও আমরা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত মাঠেই নিই। ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে বসে থাকি না। আমি ওদের ব্যাটিংয়ের সময় দুবার এই ঘটনা লক্ষ্য করেছি। ওদের প্লেয়ারদের ওপরের (ড্রেসিংরুম) দিকে তাকাতে দেখেছি। আমি আম্পায়ারকে বলেছি, এটা বন্ধ করতে হবে। আমি ওই শব্দটার ব্যবহার করতে চাই না। কিন্তু এই ঘটনা সেই গোত্রেই পড়ে। আমরা ক্রিকেট মাঠে এই কাজ কখনই করব না'।
তিনি অস্ট্রেলিয়া দলের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করছেন কিনা, এই প্রশ্নের উত্তরে কোহলি বলেছেন, 'আমি কিন্তু ও কথা বলিনি'।
উল্লেখ্য, এদিন ডিআরএস নেবেন কিনা, তা জানতে কার্যত ড্রেসিংরুমের দ্বারস্থ হন স্মিথ। এই ঘটনা ঘিরেই দুই অধিনায়কের কথাকাটাকাটি শুরু হয়ে যায়। সেই ঘটনার সূত্রেই ম্যাচ শেষে স্মিথকে বিঁধলেন কোহলি।
ডিআরএসের নিয়ম অনুযায়ী, এ ব্যাপারে ড্রেসিংরুম থেকে কোনও সঙ্কেত নেওয়া যাবে না।
অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসের ২১ তম ওভারে স্মিথকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন ভারতের পেসার উমেশ যাদব। আম্পায়ার আউট ঘোষণা করেন। এর আগে ডেভিড ওয়ার্নারের আউটের ডিআরএস চেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সে কারণে নিয়ম অনুযায়ী, একটার বেশি ডিআরএস নেওয়ার সুযোগ ছিল না তাদের। এই অবস্থায় ডিআরএস নেবেন কিনা, তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন স্মিথ। প্রথমে নন স্ট্রাইকারের কাছে মত জানতে চান। কিন্তু এরপরই দেখা যায়, স্মিথ ড্রেসিংরুমের দিকে তাকাচ্ছেন। বিষয়টি নজরে পড়ে মাঠের আম্পায়ারদের। তাঁরা স্মিথকে বাধা দেন। এরইমধ্যে চলে আসেন কোহলি।তিনি আম্পায়ারদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন। এরইমধ্যে কোহলির সঙ্গে স্মিথের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় শুরু হয়ে যায়। ডিআরএস না নিয়ে প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা দেন স্মিথ।
ম্যাচের পর স্মিথ এই বিতর্ক ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই সময় মাথা কাজ করছিল না। কিন্তু এরকমটা করা উচিত হয়নি বলেও মেনে নিয়েছেন অসি অধিনায়ক।
কিন্তু এই যুক্তি আদৌ মানতে নারাজ কোহলি। তিনি বলেছেন, দুবারের বেশি এই ঘটনা ঘটেছে। এটা মাথা কাজ না করার ঘটনা নয়।
চলতি সিরিজে অসি অধিনায়ক স্মিথের সঙ্গে ভারতের অধিনায়কের বাকযুদ্ধ চলছে। এদিন তা আরও একধাপ এগিয়ে গেল। ঘটনার পর দুই আম্পায়ার কোহলির সঙ্গেও কথা বলেন।