কলকাতা: ভারতীয় ক্রিকেটে সুদিন ফিরছে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে বোর্ডের ব্যাটন যেতেই এই আশা করেছিলেন স্বয়ং সচিন রমেশ তেন্ডুলকর। সৌরভের নেতৃত্বে আস্থা রাখার কথা জানিয়েছেন বিদেশি তারকারাও। সপ্তাহখানেকও হল না, এরই মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট যেন নতুন ভোরের পথে। যে দিনরাতের টেস্ট নিয়ে এতো টালবাহানা, সৌরভ আসতেই তার সমাধান হয়ে গেল। সেটাও মাত্র তিন সেকেন্ডে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে দিনরাতের টেস্ট ক্রিকেটে রাজি করাতে প্রিন্স অব কলকাতার সময় লাগল মাত্র তিন সেকেন্ড।


চার বছর আগে অ্যাডিলেডে অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গোলাপি বলের ইতিহাস লেখা শুরু হয়েছে। গত বছর ভারত যখন অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েছিল, বিরাটদেরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল গোলাপি বলে দিনরাতের টেস্ট খেলার জন্য। যদিও রবি শাস্ত্রীরা সেই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছিলেন প্রস্তুতির ‘অজুহাত’ দেখিয়ে। দেরিতে হলেও এবার বোধোদয় হয়েছে দলের। ফাঁকা স্ট্যান্ড থেকে টেস্ট ম্যাচের গ্যালারিতে দর্শক ফেরাতে যে নতুন অবলম্বনকে আঁকড়ে ধরতে হবে তা বিরাটদের বোঝাতে পেরেছেন সৌরভ। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের কথায়, “সত্যি বলছি, আমি জানি না ঠিক কী কারণে অ্যাডিলেডে দিনরাতের টেস্ট খেলল না ভারত। আমি জানি না অতীতে কী হয়েছে। দিনরাতের টেস্টে সম্মতি জানাতে বিরাট তিন সেকেন্ড সময়ই নিয়েছে। স্ট্যান্ডগুলো ফাঁকা থাকলে যে টেস্ট বাঁচবে না, সেটা ও বুঝেছে।”


সৌরভ মনে করেন, সঠিক পরিকল্পনা থাকলে টি-টোয়েন্টির মতো টেস্ট ম্যাচেও দর্শকাসন ভরিয়ে দেওয়া যায়। বোর্ড প্রেসিডেন্টের কথায়, গোলাপি বলের দিনরাতের টেস্ট ফের একবার দর্শককে মাঠমুখী করবে। এতে আখেরে মঙ্গল হবে ভারতীয় ক্রিকেটেরই। সৌরভের যুক্তি, “মানুষের জীবনশৈলীর আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ব্যস্ততম নাগরিক জীবনে প্রয়োজন নিত্যনতুন বিষয়গুলোকে গ্রহণ করা। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।” এই প্রসঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় বক্সিং ডে টেস্ট ও অ্যাশেজের জনপ্রিয়তার কথাও উল্লেখ করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।