দিল্লি: শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। শেষ ওভারের প্রথম দুটি বলে কোনও রান করতে না পারেননি ওকস। তিনি আউটও হয়ে যান। ব্যাট করতে নামেন সুনীল নারাইন। তৃতীয় বলে তিনি ১ রান নেন।  মণীশ স্ট্রাইকে ফিরেই অমিত মিশ্রর ওভারের চতুর্থ বলে ছয় মেরে  নাইট শিবিরে স্বস্তি এনে দেন। পঞ্চম বলে দুই রান নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন তিনি।১ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসকে হারিয়ে জয়ী হল কলকাতা নাইট রাইডার্স।মণীশ ৪৯ বলে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচের সেরাও তিনি। দিল্লি-জয়ের সুবাদে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ফের লিগ-শীর্ষে নাইট রাইডার্স।


এদিন টসে জিতে ব্যাটিং নেন জাহির খান। আর, শুরু থেকে দাপট সঞ্জু স্যামসনদের। স্যামসন ঝড় থামান উমেশ যাদব। আর, তিন উইকেট তুলে নিয়ে দিল্লির স্কোরের গতি কমান নেথান কুল্টার নাইল। রানরেটে রাশ টানেন সুনীল নারিনও। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৬৮ রানে থামে জাহির ব্রিগেড।

জবাবে ইনিংসের ওপেনিংয়ে গ্র্যান্ডহমকে নিয়ে নামেন গম্ভীর। কিন্তু, উইকেটে টিকলেন না দু’জনের কেউই। চার রানে ফিরলেন উথাপ্পাও। ম্যাচ যখন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে তখনই ঘুরে দাঁড়ালেন দুই পোড় খাওয়া যোদ্ধা। ইউসুফ পঠান আর মণীশ পাণ্ডে। ইউসুফের ব্যাটে সহজাত স্ট্রোক প্লে। মণীশের ব্যাটে বুদ্ধির ঝলক। ৫৯ রানে পঠান যখন ফিরলেন তখন লড়ার মতো জায়গায় চলে গিয়েছে নাইট রাইডার্স। তবু, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সূতোয় ঝুলেছে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ১ বল বাকি থাকতে ম্যাচ বের করে নিয়ে যান মণীশ।

# সাত রান করে আউট সূর্যকুমার যাদব (১৭.৫ ওভার)। দলের ১৫২ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন হয়।

#ইউসুফ পাঠানের পর হাফসেঞ্চুরি মণীশেরও। ৩৭ বলে ৫০ রান মণীশ পান্ডের।

# ৩৯ বলে ৫৯ রান করে আউট পাঠান। ১৪,৫ ওভারে ১৩১ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন নাইট রাইডার্সের। মণীশ ও পাঠানের চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ হয় ১১০ রান।

#এবারের আইপিএলে প্রথম হাফসেঞ্চুরি পাঠানের। ৩৫ বলে অর্ধশতরান পাঠানের।

১২.১ ওভারে ১০০ রান পূর্ণ করল নাইট রাইডার্স। ক্রিজে ইউসুফ পাঠান ও মণীশ পান্ডে।দুজনের জুটিতে ৮০-র বেশি রান উঠেছে।

#৬.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৫০ রান নাইট রাইডার্সের।

#জাহির খানের বলে আউট গম্ভীর। ২.৫ ওভারে ২১ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে কলকাতা নাইট রাইডার্স।নাইট অধিনায়ক ১২ বলে ১৪ রান করে আউট।

#রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারাল নাইট রাইডার্স।এদিন সুনীল নারাইনকে দিয়ে নয় গ্র্যান্ডহোমের সঙ্গে ওপেন করতে নামেন নাইট অধিনায়ক গৌতম গম্ভীর। কিন্তু প্রথম ওভারেই দলের ৫ রানের মাথায় ১ রান করে আউট হন তিনি।

দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে ফিরে গেলেন রবিন উত্থাপ্পাও। ২ বলে ৪ রান করে দলের ১৯ রানে ফিরে যান তিনি।

টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ঝোড়ো মেজাজে দলের ইনিংস শুরু করেন দিল্লির দুই ওপেনার সঞ্জু স্যামসন ও এস বিলিংস। ৬.১ ওভারে দলের ৫৩ রানে বিলিংসকে ফেরান কলকাতার কোল্টার নিলে। ১৭ বলে ২১ রান করেন বিলিংস। এরপর উমেশ যাদবের বলে আউট অন্য ওপেনার সঞ্জু। ২৫ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।৭.৫ ওভারে দলের ৬৩ রানে দিল্লির দ্বিতীয় উইকেটের পতন হয়। রান আউট শ্রেয়স আয়ার। ১৩.২ ওভারে ১৭ বলে ২৬ রান করে দলের ১০৬ রানের মাথায় ডাগ আউটে ফেরেন তিনি। করুণ নায়ারের সঙ্গে তাঁর জুটিতে ৪৩ রান যোগ হয়। শ্রেয়স ফেরার পরই আউট করুণ নায়ার। ইনিংসের ১৪.৬ ওভারে কোল্টার নিলের বলে ২৭ বলে ২১ রান করে ফেরেন নায়ার। দলের ১১০ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয়। ১৯ ওভারে দিল্লির রান ৬ উইকেটে ১৫৭।শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে দিল্লি করে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান। শেষ ওভারে মরিসকে আউট করেন ওকস।  ৯ বলে ১৬ রান করেন তিনি।

ইনিংসের শেষের দিকে দাপট ঋসভ পন্তের। ১১০ রানে চতুর্থ উইকেটের পতনের পর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে মাত্র ২.২ ওভারে ৩৫ রান যোগ করেন পন্ত। এরমধ্যে ম্যাথিউজের রান ৪ বলে ১। ১৪ বলে ৩৭ করে খেলছেন ঋসভ।১৭.২ ওভারে দলের ১৪৫ রানে  আউট ম্যাথিউজ। এরপর ১৬ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন ঋসভ। তাঁকে আউট করেন কোল্টার নিলে। ১৮.১ ওভারে ১৫৩ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয় দিল্লির।

আইপিএলে আজ দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলায় দিল্লি ডেয়ারবেভিলসের মুখোমুখি কলকাতা নাইট রাইডার্স। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দিল্লির অধিনায়ক জাহির খান। দিল্লির দলে ফিরেছেন মহম্মদ শামি ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ।