মুম্বই: ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের (ICC World Cup 2023) আসর। উপমহাদেশের ঘূর্ণি পিচে স্বাভাবিকভাবেই ইংল্যান্ড (England), অস্ট্রেলিয়া (Australia), নিউজিল্য়ান্ডের (New Zeland) মত দলের ব্যাটারদের কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হবে। আর ভারতীয় দলের যা স্পিন আক্রমণ, তা তো যে কোনও দলকেই চিন্তায় রাখবে। প্রাক্তন পাক অধিনায়ক ইন্তিখাব আলম (Intikhab Alam) মনে করেন আসন্ন বিশ্বকাপের মঞ্চে সেরা স্পিনার হিসেবে খেলতে নামবেন কুলদীপ যাদব। চলতি বছর ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন কুলদীপ। চোট সারিয়ে ফেরার পর অ্যাঙ্গেল ও গতিতেও পরিবর্তন এসেছে। যার ফলে মাঝের ওভারে আক্রমণে এসেই উইকেট তুলে নিচ্ছেন কুলদীপ।
চলতি বছর ওয়ান ডে ফর্ম্যাটে কুলদীপ দেশের জার্সিতে মোট ১৭ ম্য়াচে ৩৩ উইকেট নিয়েছেন। গড় ১৬.০৩। হাঁটুর চোট সারিয়ে ফেরার পর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজেকে বারবার ভেঙেছেন ও গড়েছেন। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার ও জাতীয় দলের অধিনায়ক ইন্তিখাব আলম বলছেন, "এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের খেলা দেখেছিলাম। ওঁদের স্পিন আক্রমণটা সত্যিই খুব শক্তিশালী। বিশেষ করে কুলদীপের কথা বলতেই হয়। সব দলের ব্যাটারদেরই প্রশ্নের মুখে ফেলবে কুলদীপ আসন্ন বিশ্বকাপে।'' ৮১ বছরের প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার আরও বলেন, ''জাডেজা ও কুলদীপের জুটি দুর্দান্ত সফল ছিল এশিয়া কাপে। কুলদীপ তো বিশ্বমানের একেবারে। এবারের বিশ্বকাপের সব দলের মিলিয়ে সেরা স্পিনার আমি বলব। তার ওপর এবার দলে অশ্বিনও ফের যোগ দিয়েছে। ফলে নিঃসন্দেহে এই তিনজন প্রতিপক্ষ দলের জন্য সমস্যা তৈরি করবেই।'' ব্য়াটিং লাইন আপে রোহিত ,বিরাট, গিলের মত ব্যাটার সমৃদ্ধ ভারতকেই বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার ইন্তিখাব।
ভারতের স্পিন আক্রমণের প্রশংসা করলেও নিজের দেশের স্পিন আক্রমণ নিয়ে হতাশ ইন্তিখাব। তিনি বলেন, ''এশিয়া কাপে দেখেছি পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণের দুর্বলতা। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে উইকেট তুলতে পারছে না কেউই।''
বিশ্বকাপের আগে শেষবার কোনও বড় দলের বিরুদ্ধে নিজেদের জরিপ করে নেওয়ার সুযোগ ছিল ভারতীয় দলের সামনে। তাও যে সে দল নয়, বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড । গুয়াহাটিতে শনিবার যাদের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল রোহিত শর্মাদের। কিন্তু বাদ সাধল বৃষ্টি। এক বলও খেলা হল না। তাই প্রস্তুতির সুযোগ হাতছাড়া হল টিম ইন্ডিয়ার।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। তবে ম্যাচ যে সময় শুরু হওয়ার কথা হয়েছিল, তার ঠিক ১০ মিনিট আগে বৃষ্টি নামে। রীতিমতো বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি নামে। খেলা দেখতে মাঠে এসেছিলেন বেশ কিছু দর্শক। তাঁদের হতাশ হয়েই ফিরতে হল।