মুম্বই: তিনি ব্যাডমিন্টনের বিরাট কোহলি হতে চান, সাফ জানিয়ে দিয়েছেন লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)। প্যারিস অলিম্পিক্সে অল্পের জন্য পদক জয়ের সুযোগ হারান ভারতীয় শাটলার। সেমিফাইনালে পরাজয়ের পর ব্রোঞ্জ জয়ের ম্যাচেও হার মানতে হয় ভারতীয় তরুণকে। তবে হাল ছাড়তে নারাজ লক্ষ্য। পাশাপাশি জানালেন, প্যারিস অলিম্পিক্সে (Paris Olympics) পরাজয়ের পর বিশেষ একজনের ফোন পেয়েছিলেন তিনি।


কে ফোন করেছিলেন লক্ষ্য সেনকে? 


দীপিকা পাড়ুকোন (Deepika Padukone)। বলিউডের অভিনেত্রী ফোন করেছিলেন লক্ষ্যকে। লক্ষ্যর সঙ্গে আরও একটি সম্পর্ক রয়েছে দীপিকার। কারণ, লক্ষ্যর কোচ প্রকাশ পাড়ুকোন, দীপিকার বাবা। কী কথা হয়েছিল দীপিকার সঙ্গে?


লক্ষ্য বলেছেন, 'ওঁরা খুব উৎসাহ দেন, পাশে থাকেন। ব্রোঞ্জ ম্যাচে হেরে যাওয়ার পরেও উনি ফোন করেছিলেন। বলেছিলেন, সব ঠিক আছে। চিন্তা কোরো না। তুমি দারুণ খেলেছো।'


যদিও লক্ষ্যর পরাজয়ের পর বোমা ফাটিয়েছিলেন প্রকাশ পাড়ুকোন। বলেছিলেন, বড় ম্যাচ জেতার জন্য যে নাছোড় মানসিকতা দরকার, সেই আগ্রাসনের, সংকল্পের যেন কোথাও অভাব রয়েছে। ভারতীয় শাটলাররা কোথায় পিছিয়ে পড়ছেন, সেটাও জানিয়েছিলেন প্রকাশ।


তবে গুরুকে নিয়ে কোনও খারাপ অনুভূতি পুষে রাখেননি লক্ষ্য। বলেছেন, 'প্রকাশ স্যর আমার বাবার মতো। উনি আমার অভিভাবক। উনি যা পরামর্শ দেন, মেনে চলি। ভবিষ্যতে পরিশ্রম আরও বাড়াব।'


প্যারিস অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে লক্ষ্য হেরে যান ডেনমার্কের ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের বিরুদ্ধে। সেই সময় ভেঙে পড়েছিলেন ভারতীয় শাটলার। সেই সময়কার পরিস্থিতি নিয়ে লক্ষ্য বলেছেন, 'সেমিফাইনালের পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। অলিম্পিক্সে দেশকে পদক এনে দিতে না পারার যন্ত্রণা ভুলতে আমার বেশ সময় লেগেছিল। আমি জানতাম ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আমি সেই ভাবেই প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এখন আমি উপলব্ধি করেছি যে, ওই ম্যাচে কোন কোন জায়গায় আরও উন্নতি করতে পারতাম।'


অলিম্পিক্স শেষ হতেই ভারতীয় শাটলারদের সমালোচনা করেছিলেন গুরু প্রকাশ পাড়ুকোন। বলেছিলেন, 'তোমরা যা চাইছ, সবই দেওয়া হচ্ছে। এবার একটু দায়বদ্ধতা দেখাও।' যদিও লক্ষ্য বলেছেন, 'ম্যাচের পর প্রকাশ ও বিমল স্যরের সঙ্গে আমার বিস্তারিত কথা হয়েছিল। কোন কোন জায়গায় আরও উন্নতি প্রয়োজন ওঁরা বুঝিয়ে বলেছিলেন।'


আরও পড়ুন: ফের বিরল দৃশ্য কলকাতায়, মাঠের শত্রুতা ভুলে ন্যায়বিচারের দাবিতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রাজপথে