কলকাতা: প্রয়াত প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ সুভাষ ভৌমিক। একবালপুরের নার্সিংহোমে আজ ভোররাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হন সুভাষ ভৌমিক। এছাড়া, দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন কিডনির অসুখে। প্রায় সাড়ে তিন মাস ধরে ডায়ালিসিস চলছিল। ময়দানে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান, দুই ক্লাবের হয়েই খেলেছেন সুভাষ ভৌমিক। ১৯৭০-এ এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় ফুটবল দলের সদস্য ছিলেন। খেলেছেন মারডেকা কাপেও। ইস্টবেঙ্গল, মহামেডান স্পোর্টিং ছাড়াও গোয়ার একাধিক ক্লাবের কোচ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণে ময়দানে শোকের ছায়া।


উল্লেখ্য শুক্রবারই তাঁর চিকিৎসার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিন প্রধানের কর্তা ও আইএফএ-এর কর্তাদের নিয়ে কথা বলে অসুস্থ সুভাষ ভৌমিকের পাশে দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই তারাদের দেশে পাড়ি দিলেন সুভাষ। তাঁর ছেলে অর্জুন ভৌমিক ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন যে যাতে সুভাষ ভৌমিকের মরদেহ আলিপুরে তাঁর বাড়ির সামনে দিয়ে একবারের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। গতকালই সুভাষ ভৌমিকের পরবর্তী চিকিৎসা কীভাবে হবে তা নিয়ে বৈঠক হয়েছিল। দরকারে তাঁর যদি কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হয়, সেদিকেও নজর রাখ হচ্ছিল। কিন্তু কোনো কিছুরই সময় দিলেন না ময়দানের ভোম্বলদা।





উল্লেখ্য, ফুটবলার থাকাকালিন যেমন সাফল্য পেয়েছেন, তেমনই কোচ হিসেবেও সুভাষের সাফল্য দুর্দান্ত। ২০০৩ সালে তাঁরই কোচিংয়ে আশিয়ান কাপ জয় ইস্টবেঙ্গল দলের। সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যু নিয়ে প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপার সঙ্গে। তিনি বলেন, ''কলকাতায় যখন একসঙ্গে এসেছিলাম ওঁ আমার ছোট, কিন্তু ভাল বন্ধু হয়ে গিয়েছিল। একসঙ্গে খেলেছি। একসঙ্গে দেশের হয়েও খেলেছি। রুম পার্টনারও ছিলাম আমরা। বিদেশেও থাইল্যান্ড, ব্যাঙ্কক বিভিন্ন জায়গায় খেলেছি। আমি দেখেছি কখনও ওঁকে নার্ভাসে থাকত না। সবাইকে নিশ্চয়তা দিত। কিন্তু গত ২ বছরে কোভিডের জন্য ভালভাবে দেখা করতে পারিনি।''


আরো পড়ুন: অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শেষ আটে নাদাল, বিদায় ওসাকার