বেলো হরাইজন্তে: সাল ২০১৬। কোপা আমেরিকার ফাইনাল। চিলির কাছে ২-০ গোলে হেরে কোপা জয়ের স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনার। তারপরই আবেগতাড়িত ফুটবল যুবরাজ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, জাতীয় দলের হয়ে আর খেলবেন না। তবে সেই সিদ্ধান্তে অটল থাকতে পারেননি মারাদোনার উত্তরসূরী। অবসর ভেঙে ফিরেছেন জাতীয় দলে। খেলছেন বিশ্বকাপও। তবে স্পপ্ন অধরাই থেকেছে। ২০১৪ সালে ফাইনালে গিয়েছিল দল। আর ২০১৮-তে তারও অনেক আগেই শেষ হয়ে গিয়েছিল সাদা নীল জার্সির সফর। সমর্থকরা আশা করেছিলেন কোপা জিতে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাবেন এলএমটেন। এবার সেটাও হল না। বেলো হরাইজন্তে ব্রাজিলের কাছে হেরে সেমিফাইনাল থেকেই ছুটি হয়ে গেল আর্জেন্টিনার। তবে এখনই ছুটি নিচ্ছেন না মেসি। অবসর জল্পনা উড়িয়ে বাঁ পায়ের জাদুকর জানিয়ে দিলেন, তিনি অবসর নিয়ে ভাবছেন না। যতদিন দলকে সাহায্য করতে পারবেন, তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন।





আর্জেন্টিনার হয়ে সব থেকে বেশি গোল করা ফুটবল তারকা জানিয়েছেন, “যতদিন দলের সাহায্য করতে পারব, খেলব। এই গ্রুপের সঙ্গে আমি স্বচ্ছন্দ অনুভব করছি। ” একই সঙ্গে ৩২ বছর বয়সী এই মহাতারকা নবপ্রজন্মের আর্জেন্টিনা দল নিয়েও আশার আলো দেখছেন। তাঁর কথায়, “প্রতিভাবান এই প্রজন্ম প্রমাণ করেছে, তাঁরা দেশকে কতটা ভালবাসে।” এই ফুটবলারদের ভবিষ্যৎ আছে বলেই মনে করেন লিও।



এখনও পর্যন্ত দেশের জার্সি গায়ে ১৩৫টি ম্যাচ খেলেছেন লিওনেল মেসি। গোল করেছেন ৬৮টি। তার মধ্যে ৬২টি গোলই এসেছে বাঁ পা থেকে। ৪টি রয়েছে ডান পায়ে। এই ৬৮টি গোলের মধ্যে ১৪টি গোল পেনাল্টি করেছেন এলএমটেন। এছাড়াও ৪০টি গোলে কোনও না কোনওভাবে সহযোগিতা রয়েছে তাঁর। যা আর্জেন্টিনার ফুটবল ইতিহাসের একেবারে শিখরে। গ্যাবরিয়েল বাতিস্তুতা (৫২), সার্জিও আগুয়েরো (৩৯), হার্নান ক্রেসপোরা (৩৫) এই তালিকায় মেসির অধস্তন। দেশের হয়ে গোলের নিরিখে মেসির ধারের কাছে নেই বিশ্বকাপ জয়ী কিংবদন্তী দিয়েগো মারাদোনাও (৩৪)।