বেলো হরাইজন্তে: বাঁ পায়ে রূপকথা লেখা নায়ক ফের একবার ব্যর্থ। ব্যর্থ ফুটবলের যুবরাজ লিওনেল মেসি। হলুদ নীল জার্সির বিরুদ্ধে সিংহভাগ ক্ষেত্রেই যা হয়ে এসেছে সাদা নীল জার্সির, মঙ্গলবারও ব্রাজিলের বেলো হরাইজন্তে সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল। হার। মোট ১১১টি ম্যাচে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে এই নিয়ে ৪৬ বার হারল আর্জেন্টিনা। ২০০৭ সালেও কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিলের কাছে হেরেছিলেন মেসিরা। গোলের ব্যবধান ছিল ৩-০। একযুগ পর, আর্জেন্টিনার ফাইনালে যাওয়ার পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়াল সেই ব্রাজিলই। কোপা আমেরিকার সেমিফাইনালে এবার মেসিরা হারল ২-০ ব্যবধানে। গ্যাবরিয়েল জেসুস এবং রবার্তো ফিরমিনোর জোড়া গোলেই কফিনবন্দি হল মেসির কোপা জয়ের স্বপ্নও।
ম্যাচের ১৯ মিনিটেই ব্রাজিলের হয়ে গোলের খাতা খোলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ফরোয়ার্ড গ্যাবরিয়েল জেসুস। আর এই গোলের নেপথ্যে ছিলেন লিভারপুল তারকা রবার্তো ফিরমিনো। সঙ্গে অবশ্যই বলতে হবে ‘গেম মেকার’ দানি আলভেসের কথাও। কার্যত একার দক্ষতায় আর্জেন্টিনার রক্ষণকে ছত্রভঙ্গ করে ফিরমিনোকে বল বাড়িয়ে ছিলেন আলভেস। আর সেখান থেকেই ফিরমিনোর পাসে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন জেসুস।
ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটি আসে ৭১ মিনিটে। এক্ষেত্রে গোলের মুখ খুলে দিয়ে ফিরমিনোকে বল বানিয়ে দেন জেসুস। কোনও ভুল না করে তেকাঠিতে সেই বল ঠেলে দিয়ে গোল অর্জন করে নেন ফিরমিনোও। খেলায় ফেরার মরিয়া চেষ্টা মেসিরা করেছিলেন বটে, তবে সাফল্য আসেনি। গোলের উদ্দেশে ১৪ বার শট নিয়েও গোল পাননি মেসিরা। আর্জেন্টিনার আক্রমণ ভাগ থেক গোলমুখী শট এসেছে ২টি। তার মধ্যে একটি মেসির ফ্রি কিক থেকে আগুয়েরার হেড, সেটাও বারে লেগে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত খেলা শেষ হয় ২-০-তেই।
জয়ের পর ব্রাজিলীয় তারকা আলভেস বলেন, “আমরা লক্ষ্যে পৌঁছনোর দিকে আরও একটি ধাপ এগিয়ে গেলাম। অনেকেই আমাদের নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। তবে আমরা নিজেদের পরিশ্রম, পরিকল্পনার ওপর বিশ্বাস রেখেছিলাম। তারই ফল পাচ্ছি।” অন্যদিকে সেমিতে হেরে মেসিদের কোচ লিওনেল স্ক্যালোনির বক্তব্য, “দলের ফাইনালে যাওয়া উচিত ছিল, কারণ এটা আমাদের প্রাপ্য ছিল। তবে অনেক সময়ই ফুটবলও অন্যায্য হয়।”
প্রসঙ্গত, বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নস চিলি ও পেরু। এই ম্যাচের বিজয়ীর সঙ্গেই রবিবার ফাইনাল খেলবে ব্রাজিল। ওই ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে রিও ডি জেনেরিও শহরের মারাকানা স্টেডিয়ামে।