ডারবান: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজের প্রথম ম্যাচেই জয় ভারতের। সে দেশের মাটিতে বল হাতে প্রথম ম্যাচেই সফল বাঁহাতি চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব। ম্যাচের শেষে কুলদীপ ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে সাফল্যের কৃতিত্ব দিলেন। বললেন, উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে মাহিভাই যে সব পরামর্শ দেন, তাতেই তো অর্ধেক কাজ হয়ে যায়।
গতকালের ম্যাচে কুলদীপ ও যজুবেন্দ্র চাহলের স্পিন বোলিং দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডারকে নড়বড়ে করে দেয়। শেষপর্যন্ত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। রান তাড়া করতে নেমে ছয় উইকেট বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। কুলদীপ ১০ ওভারে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। তাঁর শিকার জে পি ডুমিনি, ডেভিড মিলার ও ক্রিস মরিস।
ধোনির পাশাপাশি তাঁর সাফল্যের ক্ষেত্রে অধিনায়ক বিরাট কোহলির ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। কুলদীপ বলেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় এটাই আমার প্রথম ম্যাচ ছিল। তাই বুঝতে পারছিলাম না কীভাবে বোলিং করব। এটা আমার কাছে একটা নয়া অভিজ্ঞতা। হাওয়া বইছিল, বল সরছিল। তাই বুঝতে পারছিলাম না, কী বল করব এবং কোন বৈচিত্র্যটা ব্যবহার করব। তাই আমি মাহি ভাইয়ের কাছে জানতে চেয়েছিলাম। তিনি বললেন, যেমন বোলিং করে থাকো, তেমনই কর। এর পাশাপাশি উইকেটের পিছনে দাঁড়িয়ে একের পর এক পরামর্শ দিয়েছেন। এটা দারুন ব্যাপার। এতে কাজটা সহজ হয়ে যায়।
কুলদীপ বলেছেন, দলে দুজন কিংবদন্তী, কোহলি ও মাহি ভাইয়ের থাকাটা খুবই লাভজনক। স্পিনার হিসেবে অর্ধেক সাহায্য মাহিভাইয়ের কাছে পাওয়া যায়। কারণ, অনেক বেশি ক্রিকেট খেলেছেন তিনি। ব্যাটসম্যানদের মনোভাব সহজেই বুঝতে পারেন মাহি ভাই।
কুলদীপ বলেছেন, আমরা তরুণ। খুব বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী, কী ধরনের বোলিং করতে হবে তা বলে দেন ধোনি। আর অধিনায়ক কোহলি মানসিকতাটা গড়ে দেন। তিনি সব সময়ই বলেন, ১০ রান বাঁচানোর চেয়ে একটা উইকেট গুরুত্বপূর্ণ। একজন অধিনায়ক এমন কথা বললে এমনিতেই বোলার হিসেবে নিজের ওপর আস্থা গড়ে ওঠে।
গত বছর থেকে কুলদীপ ও চাহল সীমিত ওভারের ক্রিকেট স্পিন আক্রমণের সেরা হাতিয়ার হয়ে উঠেছেন। ইংল্যান্ডে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর ২১ টি ম্যাচের মধ্যে ভারত মাত্র চারটিতে হেরেছে।
ধীরে ধীরে বিশ্ব ক্রিকেটের স্পিন আক্রমণের অন্যতম ভয়ঙ্কর জোড়া ফলা হয়ে উঠেছেন এই দুই রিস্ট স্পিনার। মাঠে দুজনের বোঝাপড়াও দুর্দান্ত।