উল্লেখ্য,কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে গিয়েছে বাংলাদেশ।
২০০৬-এ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে টি-২০ ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল মাশরফির। সেটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম টি-২০ ম্যাচ। সেই থেকেই দলের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত। ৩৩ বছরের মাশরফি ৫২ টি টি-২০ ম্যাচে দখল করেছেন ৩৯ উইকেট। রান করেছেন ৩৬৮।বাংলাদেশকে ২৭ টি টি-২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন মাশরফি। জিতেছেন ৯ টি ম্যাচে।
২০০৯ থেকেই চোটের সমস্যা ভোগাচ্ছিল মাশরফিকে। এ জন্য তাঁকে টেস্ট ক্রিকেট থেকেও দূরে থাকতে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ায় তাঁর একাধিক অস্ত্রোপচারও হয়েছে।
নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে মাশরফি জানিয়েছেন, টি-২০ ক্রিকেটে গত ১০ বছর ধরে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করাটা একটা দারুন সম্মানের ব্যাপার। তরুণ ক্রিকেটারদের জায়গা করে দেওয়ার জন্য সরে দাঁড়ানোর এটাই সেরা সময়। দলে এখন ভারসাম্য এসেছে। উঠে এসেছেন বেশ কয়েকজন প্রতিশ্রুতিমান ক্রিকেটার।
মাশরফির অবসরের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সে দেশের নির্বাচকরা।
টি-২০ থেকে সরে দাঁড়ালেও একদিনের ক্রিকেটে দলকে তিনিই নেতৃত্ব দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
তাঁর নেতৃ্ত্বেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে সদ্যসমাপ্ত একদিনের সিরিজ ড্র করেছে বাংলাদেশ। মাশরফির অধিনায়কত্বেই ২০১৫-র বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ।