পিটারসন সম্পর্কে অভিযোগ ছিল, তিনি অন্তত চারবার ম্যাচ গড়াপেটা সংক্রান্ত প্রস্তাব পেয়েও, তা আইসিসি অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের দুর্নীতিদমন শাখার আধিকারিকদের জানাননি। কিছু ক্ষেত্রে প্রমাণ লোপাটেরও চেষ্টা করেছেন। এর আগে নিজের দোষ কবুলও করে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই প্রাক্তন ওপেনার। এরপরেই তাঁকে নির্বাসিত করা হল।
নির্বাসিত হওয়ার পর পিটারসেন বলেছেন, ‘বুকিদের সঙ্গে দেখা করা এবং সে বিষয়ে বোর্ডকে কিছু না জানানোর জন্য আমি গভীরভাবে দুঃখিত। এই কৃতকর্মের দায় আমাকেই নিতে হবে। যে সাজা দেওয়া হয়েছে, সেটা আমি মেনে নিচ্ছি। আশা করি অন্য ক্রিকেটাররা আমার এই অবস্থা থেকে শিক্ষা নেবে।’
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে গড়াপেটার কালো ছায়া অবশ্য নতুন নয়। ২০০০ সালে প্রয়াত প্রাক্তন অধিনায়ক হ্যান্সি ক্রোনিয়ে, হার্সেল গিবস, নিকি বোয়ে ও পিটার স্ট্রাইডমের বিরুদ্ধে ম্যাচ গড়াপেটার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। তারপরেও গড়াপেটার কলঙ্ক দূর হচ্ছে না দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট থেকে।