আর্জেন্তিনার সমর্থকরা প্রতি মূহুর্তে তখন ঘড়ির কাঁটার দিকে নজর দিচ্ছেন। অস্থির দেখাচ্ছে কোচ সাম্পাওলিকে। সিদ্ধান্ত পছন্দ না হওয়ায় রেফারির সঙ্গে তর্ক করতে দেখা যাচ্ছে লিওনেল মেসিকেও। মনে হচ্ছে এবার হয়তো বিশ্বকাপ অভিযান শেষ আর্জেন্তিনার। ঠিক সেসময়ই মার্কাডোর বাড়ানো বলে মার্কোস রোখোর দুরন্ত ফিনিশে আর্জেন্তিনার সামনে খুলে গেল নক আউটের দরজা। শেষ ১৬-য় আর্জেন্তিনা মুখোমুখি ফ্রান্সের।
পেনাল্টি বক্সের ডানদিক থেকে মার্কাডোর বাড়ানো বল ডানপায়ে পড়তেই নিখুঁত শটে খেলার ফল ২-১ করলেন মার্কোস রোহো।
গোটা স্টেডিয়াম জুড়ে আর্জেন্তিনার সমর্থকদের সঙ্গে তখন আবেগে ভেসে যাচ্ছেন দিয়েগো মারাদোনাও।
ডু অর ডাই ম্যাচে শুরুটা দারুণভাবে করে সাম্পাওলির দল। আর খেলার ১৪ মিনিটেই এল সেই মূহুর্ত যা দেখার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সমর্থকরা। বানেগা নাইজেরিয়ার ডিফেন্ডারদের এড়িয়ে বল বাড়ালেন মেসিকে। বাঁ পায়ে রিসিভ করে ডানপায়ের দুরন্ত ফিনিশে লাতিন আমেরিকানদের ১-০ য় এগিয়ে দেন এল এম টেন । এবারের বিশ্বকাপের শততম গোলের মাইলস্টোন।
খেলার গতিপ্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছিল আর্জেন্তিনা দাঁড়াতে দেবেনা নাইজেরিয়াকে। এলএম টেনের একটা দুরন্ত ফ্রিকিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
দ্বিতীয়ার্ধে ধীরে ধীরে খেলায় ফিরতে থাকে আফ্রিকানরা। দ্বিতীয়ার্ধের চার মিনিটে মাসচেরানোর ভুলে পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া। খেলার ফল ১-১ করে দেন ভিক্টর মোজেস। এরপর সুযোগ পেয়েছিল দুই দলই। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোল হয়নি।
অবশেষে সেই জয়ের মূহুর্ত। মার্কোসের গোল। যেন ফুটবল বিশ্বকে বলে দিল পারলে রোখো আর্জেন্তিনাকে।
এই গ্রুপে অপরাজিত থেকে নকআউটে পৌঁছল ক্রোয়েশিয়া। আইসল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে দিলেন লুকা মদ্রিচরা। গোল করলেন বাদেলজ এবং ইভান পেরিসিচ। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট। গ্রুপ শীর্ষে থেকে শেষ ষোলোয় পৌঁছে গেল ক্রোয়েশিয়া। খেলার একেবারে ৯০ মিনিটে গোল করে ক্রোয়েশিয়াকে জয় এনে দেন পেরিসিচ।