এই উত্তেজক ম্যাচের শুরুটা অবশ্য ভাল করেছিল রিয়ালই। সান্তিয়াগো বার্নাবৌ-তে ২৮ মিনিটে প্রথম গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দেন ক্যাসামিরো। ৫ মিনিটের মধ্যেই চোখ ধাঁধানো ড্রিবলে গোল করে সমতা ফেরান মেসি। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। তবে এই অর্ধে রেফারির একাধিক সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করে বার্সা। ২০ মিনিটের মাথায় মার্সেলোর কনুইয়ের ধাক্কায় মেসির মুখ ফেটে রক্ত বেরোতে থাকে। রক্ত বন্ধ করতে তিনি মুখের মধ্যে রুমাল নিয়ে খেলতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে রিয়াল বক্সের দিকে এগিয়ে চলা মেসিকে পিছন থেকে অবৈধভাবে ফাউল করে ফেলে দেন ক্যাসামিরো। কিন্তু তাতেও তাঁকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখাননি রেফারি। এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি বার্সা শিবির।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য খেলার গতি বদলে যায়। ৭৩ মিনিটে দুরন্ত গোল করে বার্সাকে এগিয়ে দেন র্যাকিটিচ। ১০ জনের রিয়ালের হার যখন নিশ্চিত মনে হচ্ছিল, ঠিক তখনই ৮৫ মিনিটে গোল করে রিয়ালকে লড়াইয়ে ফেরান হামেস। তবে দিনটা মেসিরই ছিল। ইনজুরি টাইমে তাঁর গোলেই ম্যাচের ফল নির্ধারিত হয়। এই ম্যাচ জিতে রিয়ালকে টপকে লা লিগার শীর্ষে উঠে এল বার্সা।
জুভেন্তাসের কাছে পরাজয়ের ধাক্কা কাটিয়ে এল ক্লাসিকোয় ফের মেসি ম্যাজিক। ইনজুরি টাইমে মেসির দুরন্ত গোল! ৩-২ গোলে পরাজিত রোনাল্ডোরা। গোল পেলেন না সিআর সেভন। গতকাল ম্যাচের রিয়ালের হয়ে প্রথম গোলটি করেন! ম্যাচের ৭৩ মিনিটে গোল দিয়ে বার্সেলোনাকে এগিয়ে দেন রাকিটিচ। ৮৫ মিনিটে রডরিগেজ। কিন্তু, ইনজুরি টাইমে বার্সার ত্রাতা সেই মেসি। তাঁর ৯২ মিনিটের দুরন্ত গোলে ৩ পয়েন্ট নিশ্চিত করে বার্সেলোনা। এই জয়ে রিয়ালকে সরিয়ে লা লিগার শীর্ষে উঠে এল তারা।