মুম্বই: ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) বিরুদ্ধে নিজেদের হতশ্রী রেকর্ড কি কিছুটা পাল্টাতে পারবে চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)?
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিশ্বজয় অমর হয়ে রয়েছে। কিন্তু আইপিএলে এই মাঠে ধোনির স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়। বরং অনেকটা এগিয়ে রয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান। ওয়াংখেড়েতে দশবারের সাক্ষাতে সাতবারই সিএসকে-কে হারিয়েছে মুম্বই। যে হিসেবটা শনিবার সামান্য বদলানোর সম্ভাবনা।
কারণ, শনিবার বল হাতে জ্বলে উঠলেন সিএসকে বোলাররা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোনও ব্যাটারই সিএসকে-র নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না। টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। রোহিত শর্মারা শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫৭/৮ স্কোরে আটকে গেল মুম্বই। ম্যাচ জিততে ধোনিদের সামনে ১৫৮ রানের লক্ষ্য।
রোহিত শর্মা ও ঈশাণ কিষাণ শুরুটা ভাল করেছিলেন। ৪ ওভারে ৩৮ রান ওঠার পর তুষার দেশপাণ্ডের বলে বোল্ড হয়ে যান রোহিত। ১৩ বলে ২১ রান করে। ২১ বলে ৩২ রান করে রবীন্দ্র জাডেজার বলে ফেরেন কিষাণ। তারপর থেকেই ধস নামে মুম্বই ইনিংসে। মিডল অর্ডার ব্যর্থ। ক্যামেরন গ্রিন ১২, সূর্যকুমার যাদব ১, তিলক বর্মা ২২, আর্শাদ খান ২ ও ট্রিস্টান স্টাবস ৫ রান করে ফেরেন। টিম ডেভিড ২২ বলে ৩১ রান করে আউট হন। সিএসকে বোলারদের মধ্যে সেরা জাডেজা। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। মিচেল স্যান্টনার ও তুষার দেশপাণ্ডে ২টি করে উইকেট নেন।
চোটের জন্য মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেলেন ইংরেজ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। সেই সঙ্গে মঈন আলিও মাঠে নামতে পারলেন না। তাঁদের পরিবর্তে অজিঙ্ক রাহানে ও ডোয়েন প্রিটোরিয়াসকে খেলাচ্ছে চেন্নাই সুপার কিংস।
টসের পরই ধোনি জানিয়ে দেন যে, চোট থাকায় খেলছেন না স্টোকস। তিনি এ-ও জানান যে, অসুস্থ থাকায় খেলতে পারছেন না মঈন আলি। পাশাপাশি ম্যাচের প্রথম ওভার বল করার পর হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট লাগায় মাঠ ছাড়েন দীপক চাহারও। সব মিলিয়ে বেশ কঠিন পরিস্থিতি ধোনিদের সামনে।
মুম্বই শিবিরও স্বস্তিতে নেই। সিএসকে-র বিরুদ্ধে খেলতে পারছেন না জোফ্রা আর্চার। যশপ্রীত বুমরা না থাকায় যাঁর ওপর অনেকটা নির্ভর করে রয়েছে মুম্বই। কিন্তু ফিট নন আর্চার। সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনা শুরু হয়ে যায় যে, আর্চারের এত চোট প্রবণতার কথা জেনেও কেন ট্রেন্ট বোল্টকে ধরে রাখার চেষ্টা করল না মুম্বই।