মুম্বই: তিনি মুম্বইয়ের ক্রিকেটার। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামকে চেনেন হাতের তালুর মতো। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইকে নেতৃত্বও দিয়েছেন।
সেই অজিঙ্ক রাহানের (Ajinkya Rahane) জন্য শনিবার আঁধার নামল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স (Mumbai Indians) শিবিরে। ব্যাট হাতে দুরন্ত ছন্দে মুম্বইয়ের তারকা। মাত্র ১৯ বলে ৫০ রান পূর্ণ করেন তিনি। চলতি আইপিএল-এ দ্রুততম হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ২৭ বলে ৬১ রান করে ফিরলেন রাহানে। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। ৩৬ বলে ৪০ রান করে অপরাজিত রইলেন তিনি। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ১৫৭/৮ স্কোর তাড়া করতে নেমে ১১ বল বাকি থাকতে লক্ষ্যে পৌঁছে গেল চেন্নাই সুপার কিংস (CSK)। মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে। রোহিত শর্মাদের ৭ উইকেটে হারিয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২ পয়েন্ট ঘরে তুললেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনিরা।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে মহেন্দ্র সিংহ ধোনিদের বিশ্বজয় অমর হয়ে রয়েছে। কিন্তু আইপিএলে এই মাঠে ধোনির স্মৃতি খুব একটা সুখকর নয়। বরং অনেকটা এগিয়ে রয়েছে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন মুম্বই ইন্ডিয়ান। ওয়াংখেড়েতে দশবারের সাক্ষাতে সাতবারই সিএসকে-কে হারিয়েছে মুম্বই। যে হিসেবটা শনিবার সামান্য হলেও বদলাল।
কারণ, শনিবার প্রথমার্ধে বল হাতে জ্বলে উঠলেন সিএসকে বোলাররা। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের কোনও ব্যাটারই সিএসকে-র নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না। টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। রোহিত শর্মারা শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকলেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৫৭/৮ স্কোরে আটকে যায় মুম্বই। ম্যাচ জিততে ধোনিদের সামনে ১৫৮ রানের লক্ষ্য ছিল। রাহানের দাপটে যে লক্ষ্য সহজেই পূরণ করল সিএসকে।
রোহিত শর্মা ও ঈশাণ কিষাণ শুরুটা ভাল করেছিলেন। ৪ ওভারে ৩৮ রান ওঠার পর তুষার দেশপাণ্ডের বলে বোল্ড হয়ে যান রোহিত। ১৩ বলে ২১ রান করে। ২১ বলে ৩২ রান করে রবীন্দ্র জাডেজার বলে ফেরেন কিষাণ। তারপর থেকেই ধস নামে মুম্বই ইনিংসে। মিডল অর্ডার ব্যর্থ। ক্যামেরন গ্রিন ১২, সূর্যকুমার যাদব ১, তিলক বর্মা ২২, আর্শাদ খান ২ ও ট্রিস্টান স্টাবস ৫ রান করে ফেরেন। টিম ডেভিড ২২ বলে ৩১ রান করে আউট হন। সিএসকে বোলারদের মধ্যে সেরা জাডেজা। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি। মিচেল স্যান্টনার ও তুষার দেশপাণ্ডে ২টি করে উইকেট নেন।