নিউ ইয়র্ক: পেশাদারী বক্সিং কেরিয়ারে বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন মাইক টাইসন (Mike Tyson)। প্রতিপক্ষ ইভান্ডার হোলিফিল্ডকে (Evander Holyfield) বক্সিং রিংয়ে গুঁতো মেরেছিলেন, কান কামড়ে দিয়েছিলেন। খেলা ছাড়ার পরেও সেই বদমেজাজ এবং মারকুটে স্বভাব যায়নি টাইসনের। এবার উড়ানে এক সহযাত্রীকে একাধিকবার ঘুঁষি মারলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিও ভাইরাল। অনেকেই টাইসনের এই আচরণের নিন্দা করছেন।


সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিও


সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, উড়ানে টাইসনের পিছনের আসনে বসে থাকা এক ব্যক্তি বারবার তাঁর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন এবং অন্য একজন সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ড করছেন। হঠাৎই মেজাজ হারিয়ে সংশ্লিষ্ট সহযাত্রীকে মারতে শুরু করেন টাইসন। তাঁর মারে ওই ব্যক্তির কপালের ডানদিক ফেটে যায়।


সহযাত্রীরা জানিয়েছেন, উড়ান ধরার সময় শান্তই ছিলেন টাইসন। তাঁর সঙ্গে যাঁরা কথা বলার চেষ্টা করছিলেন, প্রত্যেকের কথারই জবাব দিচ্ছিলেন এই প্রাক্তন বক্সার। কিন্তু তাঁর পিছনের আসনে থাকা ওই ব্যক্তি একনাগাড়ে তাঁকে উত্যক্ত করে যাচ্ছিলেন। সেই কারণেই তাঁকে মারতে শুরু করেন টাইসন।


এই ঘটনার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পুলিশ, জেট ব্লু এয়ারলাইন ও টাইসনের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।


বারবার বিতর্কে জড়িয়েছেন টাইসন


৫৫ বছর বয়সি টাইসন পেশাদার হেভিওয়েট বক্সিংয়ের ইতিহাসে অন্যতম সেরা। তিনি ১৯৮৭ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত হেভিওয়েট বক্সিংয়ে বিশ্বের এক নম্বর ছিলেন। তবে এরপরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। ১৯৯২ সালে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁর ৬ বছরের কারাদণ্ড হয়। ১৯৯৫ সালে অবশ্য প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। এরপর বিশ্বখেতাব পুনরুদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন তিনি। কিন্তু হোলিফিল্ডের কাছে বিশ্বখেতাব হারানোর পর আর সেটা ফিরে পাননি টাইসন। ১৯৯৭ সালে হোলিফিল্ডের বিরুদ্ধে লড়াই চলাকালীন তিনি কানে কামড় দেন। এর ফলে তিনি নির্বাসিত হন। ১৯৯৯ সালে রিংয়ে ফিরলেও, ফের বিতর্কে জড়ান তিনি। ২০০৫ সালে তিনি অবসর নেন।