মোহালি: করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। পরে তাঁর স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে মিলখা সিংহ কিছুটা সুস্থ হয়ে ওঠায় হাসপাতাল থেকে বাড়ি গিয়েছিলেন। তাঁর ছেলে তথা বিখ্যাত গল্ফার জীভ মিলখা সিংহ জানিয়েছিলেন, সুস্থ রয়েছেন মিলখা।


তবে শরীরে অক্সিজেন মাত্রার আচমকা পতন হওয়ায় বৃহস্পতিবার ফের হাসপাতালে ভর্তি করতে হল কিংবদন্তিকে।


ভারতের সুপার স্প্রিন্টারের শারীরিক অবস্থায় স্থিতিশীল হওয়ায় তাঁর পরিবারের অনুরোধে রবিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় ৯১ বছরের মিলখা সিংহকে। যদিও তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো হলেও চিন্তার রেশ রয়েছে মিলখা সিংহের স্ত্রী নির্মল কউরকে নিয়ে। শনিবার রাতেই অক্সিজেন স্যাচুরেশন লেভেল অনেকটা কমে যাওয়ায় তাঁকে স্থানান্তরিত করতে হয়েছে আইসিইউতে।


রবিবার মোহালির বেসরকারি হাসপাতালটির পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, 'ওঁর পরিবারের অনুরোধে মিলখা সিংহকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হল। তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। তবে অক্সিজেন ও নিউট্রিশনাল সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। এদিকে, মিলখার সিংহের স্ত্রীকে আইসিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। গতরাতে তাঁর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটা কমে যাওয়াতেই এই পদক্ষেপ। এই মুহূর্তে তাঁর শারীরিক অবস্থাও স্থিতিশীল।'


কিছুদিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মিলখা সিংহ ও তাঁর স্ত্রী। শারীরিক অবস্থার অবনতিতে তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছিল। মিলখা সিংহের ছেলে তথা প্রখ্যাত গলফার জিব মিলখা সিংহ দুবাই থেকে যারপরই উড়ে আসেন চণ্ডীগড়ে। মিলখা সিংহের বড় মেয়ে মোনা মিলখা সিংহও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মোহালিতে উড়ে এসেছেন। তিনি পেশায় একজন চিকিৎসক।


এশিয়ান গেমসে চারবারের সোনাজয়ী, কমনওয়েথ গেমসে চ্যাম্পিয়ন মিলখা সিংহের ট্র্যাকে সবথেকে বড় কৃতিত্ব ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিক্সে। যেখানে অল্পের জন্য পদক পাননি ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা স্প্রিন্টার। ইতালির রাজধানীতে যে সময়ে ৪০০ মিটার দৌড় শেষ করেছিলেন মিলখা, সেটি দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে কায়েম ছিল। ১৯৯৮ সালে পরমজিৎ সিংহ সেই রেকর্ড ভাঙেন। ১৯৫৬ ও ১৯৬৪ অলিম্পিক্সেও দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন মিলখা। ১৯৫৯ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত হওয়া মিলখা মারণ ভাইরাসের কবলে পড়ার পর থেকেই চিন্তায় ডুবেছিল দেশের ক্রীড়ামহল।