তাসখন্দ: মীরাবাঈ চানুর (Mirabai Chanu) অনুপস্থিতিতে উজ়বেকিস্তানে চূড়ান্ত হতাশ করলেন ভারতীয় ভারত্তোলকরা। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এশিয়ান ভারত্তোলন চ্যাম্পিয়নশিপ (Asian Weightlifting Championship) টুর্নামেন্টে ভারতীয় ভারত্তোলকরা একটিও পদক জিততে পারেননি। জ্ঞানেশ্বরী যাদব, দিতিমণি সোনোয়াল ও ভাল্লুরি অজয়া বাবুর দল সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হন। 


টুর্নামেন্টে জ্ঞানেশ্বরী দেবীর কাছেই একমাত্র অলিম্পক্সে কোয়ালিফাই করার সুযোগ ছিল। তিনি ৪৯ কেজির বিভাগে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বাকি দুই ভারত্তোলক অলিম্পিক্সের অংশ নয়, এমন বিভাগের অংশ ছিলেন। জ্ঞানেশ্বরী নিজের তৃতীয় প্রয়াসে স্ন্যাচে ৮১ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১০২ কেজি ভার তুলতে ব্যর্থ হন। তিনি স্ন্যাচে ৭৯ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ৯৯ কেজি, মোট ১৭৮ কেজি তুলে আট নম্বরে শেষ করেন।


৬৪ কেজির বিভাগে দিতিমণি চতুর্থ স্থানে শেষ করেন। তিনি স্ন্যাচে ৮৩ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১১১ কেজি, মোট ১৯৪ কেজি ভারত্তোলন করে চতুর্থ স্থানে শেষ করেন। উত্তর কোরিয়ার রি সুক ২৫৩ কেজি ভারত্তোলন করে এই বিভাগে শীর্ষে শেষ করেন। অপরদিকে, অজয়া বাবু ৮১ কেজি বিভাগে শেষ করেন ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেন। তিনি মোট ২৯৭ কেজি ভারত্তোলন করেছেন। স্ন্যাচে ১৩৭ কেজি এবং ক্লিন অ্যান্ড জার্কে ১৬০ কেজি ভারত্তোলন করেন তিনি। এই বিভাগে রি চং সং ৩৬৯ কেজি তুলে শীর্ষস্থান দখল করেন। 


টোকিও অলিম্পিক্সে রুপোজয়ী, কমনওয়েলথ গেমস চ্যাম্পিয়ন মীরাবাঈ ৪৯ কেজি বিভাগেই লড়াই করেন। তবে তিনি এই টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণই করেননি। 


সরানো হল মনোরঞ্জনকে


অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের (All India Football Federation) কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। লাল হলুদের কিংবদন্তি এই ডিফেন্ডার দেশের জার্সিতেও প্রচুর ম্যাচ খেলেছেন। এরপরও কেন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল তার কারণ জানা যায়নি। অন্যদিকে মনোরঞ্জনের বদলে কমিটিতে স্থান পেয়েছেন অনামী সন্তোষ সিহ। যার কোনও আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতাও নেই। বিহারের প্রাক্তন এই ফুটবলারকে আগামী ২০২৬ পর্যন্ত কমিটিতে থাকার জন্য আবেদনপত্র পাঠানো হয়েছে৷ বিহারের হয়ে সন্তোষ ট্রফিতে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন এই প্রাক্তন ফুটবলার। এছাড়াও আন্তঃরাজ্য পর্যায়ে কোচিংও করেছেন সন্তোষ সিংহ। 


এদিকে কমিটি থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন বাইচুং ভুটিয়াও। এর আগে ২০১৩-২০১৭ পর্যন্ত ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটির প্রধানের দায়িত্ব সামলেছিলেন জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়ক। এরপর ২০১৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত সেই দায়িত্ব সামলেছিলেন দেশের বর্ষীয়ান প্রাক্তন ফুটবলার শ্যাম থাপা। এই পদে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বর্তমানে আরেক প্রাক্তন ফুটবলার আই এম বিজয়ন। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে 


আরও পড়ুন: অবশেষে অনুশীলনে ফিরলেন ঈশান কিষাণ, মাঠে ফিরবেন কবে?