সিডনি: প্রয়াত হলেন ভারতীয় দলের ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজের বাবা। শুক্রবার হায়দরাবাদের একটি হাসপাতালে মারা যান সিরাজের বাবা মহম্মদ ঘাউস। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩।সিরাজ বর্তমানে ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন। জানা গেছে, বাবার শেষকৃত্যে হাজির থাকতে দেশে ফিরছেন না সিরাজ। কারণ, করোনাভাইরাসজনিত অতিমারীর সংক্রান্ত অস্ট্রেলিয়ার কোয়ারেন্টিন বিধি।

সিরাজের বাবা ছিলেন অটোরিক্সা চালক। কিন্তু সেজন্য ছেলের স্বপ্নপূরণে কোনও কিছুরই খামতি হতে দেননি তিনি। নিজের যৎসামান্য রোজগার দিয়েই ছেলের ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্নপূরণে যা কিছু করার করেছিলেন।

সংবাদমাধ্যমকে সিরাজ বলেছেন, আমার বাবার ইচ্ছে ছিল যে, আমার ছেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। নিশ্চিতভাবে বাবার সেই ইচ্ছে পূরণের জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা চালাব। আমি জানি আমার ছোটবেলায় বাবাকে কতটা কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল। অটো চালিয়ে ক্রিকেট নিয়ে আমার আবেগের পাশে দাঁড়ানোটা তাঁর কাছে সহজ ছিল না। কিন্তু তিনি আর্থিক অভাবের এতটুকু আঁচ পড়তে দেননি। দেশের হয়ে আমাকে খেলতে দেখা তাঁর স্বপ্ন ছিল। যেভাবে আমি তাঁর সেই ইচ্ছে পূরণ করছি ও আনন্দ দিতে পেরেছি, তাতে আমি খুশি।

সিরাজ জানিয়েছেন, কোচ শাস্ত্রী ও অধিনায়ক বিরাট কোহলি বাবার মৃত্যুর খবর তাঁকে দেন। তাঁরা সিরাজকে শক্ত থাকতে বলেন। সিরাজ জানিয়েছেন, কোচ ও অধিনায়ক তাঁকে সব ধরনের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

ফুসফুসের অসুস্থতায় ভুগছিলেন সিরাজের বাবা। কয়েকদিন আগে তাঁকে হায়দরাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সিরাজ জানিয়েছেন, ম্যাচের কয়েকদিন আগে বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। এ জন্য আমি খুবই উদ্বেগে ছিলাম। কিন্তু ম্যাচের পর যখন বাড়িতে ফোন করে জানতে পেরেছিলাম যে, বাবা বাড়িতেই আছেন। এতে খুব খুশি হয়েছিলাম। ওই ম্যাচে আরসিবি-র জয়ের পর এই খবর আমার আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছিল।

সিরাজ বলেছেন, বাবা আমাকে বলেছিলেন যে, সবাই খুব আনন্দিত হয়ে ফোন করে বলছে যে, তোমার ছেলে আইপিএলে খুব ভালো খেলছে। হায়দরাবাদের সমস্ত খবরের কাগজে তোমার ছবি ছিল।