কলকাতা: বেজে গিয়েছে দামামা। রাত পোহালেই ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ( ইস্টবেঙ্গলের মুখোমুখি হবে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ ঘিরে ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে। মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল, উভয়ের সামনেই ১৭তম ডুরান্ড কাপ জিতে মরশুমের শুরুটা ট্রফি দিয়ে করার হাতছানি রয়েছে। তবে খেতাব জয়ের হাতছানি থাকলেও, টুর্নামেন্টটিকে প্রাক মরশুম প্রস্তুতি হিসাবেই দেখছেন মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো।
ডুরান্ড কাপের ফাইনালের আগে স্প্যানিয়ার্ড সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, 'এই টুর্নামেন্টটা আমাদের কাছে প্রাক মরশুম প্রস্তুতিই। এফসি গোয়া, মুম্বইয়ের (সিটি) মতো দলগুলিকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠায় আমি অবশ্যই খুশি। ইস্টবেঙ্গলের মতো ভাল দলের বিরুদ্ধে আবার খেলতে নামব। এতদিন যেমনভাবে খেলে এসেছি, সেইভাবেই খেলে ট্রফি জয়ের চেষ্টা করব।'
দুই দল কিন্তু ইতিমধ্যেই এর আগে লিগ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। নন্দকুমারের গোলে সেই ম্য়াচে জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। তবে সেই ম্যাচের প্রভাব কোনওভাবেই ফাইনালে পড়বে বলে মনে করছেন না ফেরান্দো। তিনি বলেন, 'অতীতে যা ঘটেছে, তা ঘটে গিয়েছে। আমরা অতীতের সঙ্গে বর্তমান বা বর্তমানের সঙ্গে ভবিষ্যত গুলিয়ে ফেললে তো সমস্যা। প্রতিটি ম্যাচই ভিন্ন। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের সময় আমরা ম্যাচিন্দ্রা (এএফসি কাপ) ম্যাচ নিয়েই বেশি ভাবনাচিন্তা করছিলাম। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে খেলার ছাড়পত্র আমরা পেয়ে গিয়েছি, তাই আমি খুশি। ফাইনালে পৌঁছতে পেরে আমি খুশি। ফাইনাল খেলাটা সবসময়ই গর্বের। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আগের ম্যাচের থেকে বর্তমানে পরিস্থিতিটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। প্রথম ডার্বির আগে যা লক্ষ্য ছিল, সেই লক্ষ্য থেকে বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য সম্পূর্ণ পৃথক।'
তাঁর দল যে ত্রুটিমুক্ত নয়, সে কথা মেনেই নিচ্ছেন ফেরান্দো। তবে তিনি এর জন্য ঠাসা সূচির দিকেই আঙুল তোলেন। 'ভুল দেখলে সেগুলি শুধরে নেওয়ার জন্য তো সামান্য সময়টুুকু দরকার। তবে আমরা তো সেটাই পাচ্ছি শেষ ১০ দিনে এই নিয়ে চতুর্থ ম্যাচ খেলছি আমরা। তাই যে কম ভুল করবে, আমায় তার উপরই ভরসা করতে হবে। সাহাল, থাপারা নিরন্তর ৯০ মিনিট করে খেলেছে।' দাবি সবুজ মেরুন কোচের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন
https://t.me/abpanandaofficial
আরও পড়ুন: ফাইনালে পৌঁছনোর আশা ছিল না, দলের পারফরম্যান্সে গর্বিত ইস্টবেঙ্গল কোচ কুয়াদ্রাত