কলকাতা: আসন্ন এএফসি কাপের প্রাথমিক পর্বে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রথম ম্যাচ ১৫ অগাস্ট। এশীয় ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন বা এএফসি যে সূচী প্রকাশ করেছে, তাতে এমনই জানানো হয়েছে। হিরো আইএসএল ২০২২-২৩-এর নক আউট চ্যাম্পিয়নদের খেলতে হবে নেপালের মাচিন্দ্রা এফসি অথবা ভুটানের পারো এফসি-র বিরুদ্ধে।


এএফসি কাপের দক্ষিণাঞ্চল পর্বে যে ক্লাবগুলি খেলবে, তাদের মধ্যে অন্যতম মোহনবাগান এসজি। ৮ অগাস্ট মাচিন্দ্রা ও পারোর মধ্যে ম্যাচ দিয়ে এই অঞ্চলের পর্ব শুরু হবে। এই ম্যাচে যারা জিতবে, তারাই এক সপ্তাহ পরে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে খেলবে। তাদের ম্যাচের দিনই বাংলাদেশের আবাহনী লিমিটেড ঢাকা মুখোমুখি হবে মলদ্বীপের ক্লাব ঈগলসের। মোহনবাগান ১৫ অগাস্টের ম্যাচে জিতলে সে দিনের এই অন্য ম্যাচের বিজয়ীদের বিরুদ্ধে খেলবে। এএফসি-র পক্ষ থেকে আপাতত এই রাউন্ডের সূচীই ঘোষণা করা হয়েছে। তবে ম্যাচগুলি কোথায়, কখন হবে, তা এখনও জানানো হয়নি।


গত বছর সেপ্টেম্বরে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে কুয়ালালামপুর এফসি-র কাছে ১-৩-এ হেরেছিল এটিকে মোহনবাগান। ৯০ মিনিট পর্যন্ত এক গোলে পিছিয়ে থাকার পর ফারদিন আলি মোল্লার গোলে সমতা আনে তারা। কিন্তু স্টপেজ টাইমে পরপর দু’গোল খেয়ে ম্যাচ হেরে যায়।


তার আগে এটিকে মোহনবাগান সে বারের এএফসি কাপের বাছাই পর্ব ও গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলি কলকাতায় খেলেছ। গত বছর এপ্রিলে তারা শ্রীলঙ্কার ব্লু স্টার ও ঢাকার আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে গ্রুপ পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। মে মাসে গ্রুপ পর্বে তারা গোকুলম কেরালা এফসি-র কাছে ২-৪-এ হারলেও বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে ৪-০ ও মলদ্বীপের মাজিয়া এসআর-কে ৫-২-এ হারিয়ে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে ওঠে।


গতবার ফাইনালের মুখ থেকে অপ্রত্যাশিত ভাবে ফিরে আসার পরে এ মরশুমে সবুজ-মেরুন বাহিনীর সামনে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য এএফসি কাপ। তাই এ বছর ক্লাবের সঙ্গে নতুন চুক্তি করার পরই স্প্যানিশ কোচ হুয়ান ফেরান্দো বলে দেন, “আইএসএলে এ বারও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি আমাদের লক্ষ্য থাকবে এএফসি কাপে ভাল ফল করা”। এ বার ফেরান্দোর সঙ্গে দলের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর হিসেবে থাকবেন সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রাক্তন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসও।  


এএফসি কাপের লক্ষ্যে তাদের এ বারের অভিযান শুরু হয়েছে গত মে-র প্রথম সপ্তাহে, কোঝিকোড়েতে। ২০২১-২২-এর হিরো আইএসএল ট্রফিজয়ী হায়দরাবাদ এফসি-কে প্লে অফ ম্যাচে হারিয়ে এএফসি কাপের ছাড়পত্র অর্জন করে মরশুম শেষ করে কলকাতার দল। নির্ধারিত সময়ে ফল ১-১ থাকার পরে পেনাল্টি শুট আউটে ৩-১-এ জেতে সবুজ-মেরুন বাহিনী। প্রথমার্ধে দু’পক্ষই গোল পায়। ২০ মিনিটের মাথায় দিমিত্রিয়স পেট্রাটস ও ৪৪ মিনিটে জোয়েল চিয়ানিজ গোল করেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে কোনও গোল না হওয়ায় ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ায়। মরশুমের শেষ ম্যাচে ক্লান্ত ফুটবলাররা পরের আধ ঘণ্টাতেও কোনও গোল করতে পারেননি।


টাই ব্রেকারে হায়দরাবাদের গোলকিপার অনুজ কুমার কার্ল ম্যাকহিউয়ের শট আটকে দিলেও দিমিত্রিয়স পেট্রাটস, লিস্টন কোলাসো ও শেষে কিয়ান নাসিরির গোল তাদের এএফসি কাপের প্রবেশপত্র পাইয়ে দেয়। প্রতিপক্ষের তিন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড় সাহিল তাভোরা, জোয়েল চিয়ানিজ এবং ওদেই ওনাইন্দিয়া গোলের বাইরে বল পাঠানোয় সবুজ-মেরুন বাহিনীর কাজ অনেক সোজা হয়ে যায়।


                                                                                                                                                                                        তথ্য সংগ্রহ: আইএসএল মিডিয়া