কলকাতা:  রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে কড়া মন্তব্য রাজপালের (Governor)। এদিন রাজ্যপাল বলেন, 'সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য কমিশনারকে নিয়োগ করেছিলাম। মানুষ হতাশ হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষ হওয়া উচিত।


প্রসঙ্গত, রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মনোনয়ন পর্বের দিন থেকে একের পর এক হিংসার ঘটনা উঠে আসছে। জেলায় জেলায় একাধিক রাজনৈতিক খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। দিকে দিকে অশান্তির ছায়া ধরা পড়েছে। যে কারণে ভাঙড়-সহ একাধিক জায়গায়, মূলত যে জায়গাগুলিতে অশান্তি চরমে পৌঁছেছিল, সেই জায়গায় সফর করেছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল। হিংসা রুখতে, অভিযোগ জানাতে রাজভবনে খোলা হয়েছে চব্বিশ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম। আর এমনই এক আবহ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে এদিন নিশানা করলেন রাজ্যপাল।


রাজ্যপাল এদিন আরও বলেন,' আমি তাঁকে মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ করেছিলাম। মানুষের রক্তপাত নিয়ে দরাদরি করা যায় না। হিংসাকে যেকোনও মূল্যে নির্মূল করতে হবে। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও জায়গা নেই। হিংসা কোনও অবস্থাতেই কাম্য নয়, কিন্তু হিংসা হচ্ছে। মানুষের রক্তের প্রতি বিন্দুর দায় নিতে হবে কমিশনারকে। যে কোনও পরিস্থিতিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হবে।'


আরও পড়ুন, সাঁতারে কী কী রোগ থেকে মুক্তি ? কী বলছেন চিকিৎসক ?


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ? 


প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানো নিয়ে টানাপোড়েন চলে গত কয়েকদিন । কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে রজ্য নির্বাচন কমিশন। বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিন্হা (Rajiv Senha)। এমনকি নিয়োগে সায় দেওয়ার পরেও, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Annada Bose) রাজীবের জয়নিং রিপোর্ট প্রত্যাখ্যান করে ফেরত পাঠিয়েছেন নবান্নে (Nabanna)।


তার পর থেকেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীবের পদে থাকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে (Panchayat Elections 2023)। পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে তাঁর ইনিংস কি শেষ, উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু রাজ্যপাল চাইলেই রাজীবকে পদ থেকে সরাতে পারবেন না, তার জন্য ইমপিচমিন্ট বা অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে বলে মত আইন বিশেষজ্ঞদের। এবিপি আনন্দে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন বিশিষ্ট আইনজীবী শীর্ষেন্দু সিংহ রায়। তিনি বলেন, 'রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনার হিসাবে রাজীব সিন্হার নামে সম্মতি দিয়েছেন। এখন তিনি যদি নিয়োগপত্র বা জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ না-ও করেন, তাহলেও রাজীবকে সরাতে গেল ইমপিচমেন্ট নিয়ে আসতে হবে। এছাড়া, নির্বাচন কমিশনার যদি নিজে পদত্যাগ করেন, তাহলে হতে পারে। এছাড়া, এই মুহূর্তে রাজীব সিন্হাকে সরানোর আর কোনও উপায় নেই।'