নয়াদিল্লি: সন্তানের ওপর শুধু মায়ের একার অধিকার নেই। বাবারও সমান অধিকার রয়েছে। কড়া বার্তা দিল দিল্লির আদালত।


ক্রিকেটার শিখর ধবনের (Shikhar Dhawan) সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে স্ত্রী আয়েশার। তবে ছেলে জোরাবর রয়েছে মায়ের সঙ্গে। সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। মেলবোর্নে। পারিবারিক একটি অনুষ্ঠানে ছেলে যাতে যোগ দিতে পারে, সেই আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ধবন। দিল্লির পারিবারিক আদালত প্রথম ধবনের আবেদন নাকচ করে দিয়েছিল। জানিয়েছিল, স্কুল কামাই করে আসার মতো গুরুত্বপূর্ণ নয় ওই পারিবারিক অনুষ্ঠান।


পরে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হন ধবন। জানান, তিনি স্কুলের ছুটি অনুযায়ী পারিবারিক অনুষ্ঠানের দিনবদল করেছেন। এবার যেন ছেলেকে আসতে দেওয়া হয়।


যদিও আয়েশা এর বিরোধিতা করেন। জানান যে, পরিবারের অনেকের সঙ্গে কথা না বলে দিন নির্ধারিত হয়েছে এবং সেই কারণে এই অনুষ্ঠান 'ফ্লপ শো' হবে।





তার পরিপ্রেক্ষিতে দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ় কোর্টের বিচারপতি হরিশ কুমার বলেন, 'সন্তান কখনওই মায়ের একার সম্পত্তি নয়। বাবা হিসাবে যখন ধবন খারাপ নন, তখন কেন তাঁর সঙ্গে সন্তানকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না?'


আদালত এও জানায় যে, ধবন বাচ্চার স্থায়ী দায়িত্ব চাইছেন না। কয়েকদিনের জন্য এখানে আনতে চাইছেন এবং তাতে মায়ের আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। আদালত এও দেখেছে যে, ২০২০ সালের অগাস্ট মাসের পর থেকে ধবনের পরিবার আর বাচ্চাটির সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। যদি পারিবারিক অনুষ্ঠানে বেশি কেউ নাও আসেন, তবু ধবন ও তাঁর পরিবারকে সন্তানকে দেখা থেকে বঞ্চিত করা চলে না।


ধবন ও আয়েশার বিচ্ছেদ ও সন্তানের কাস্টডি নিয়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়া - দুই দেশেই মামলা চলছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, ছেলেকে দেখতে প্রায়ই অস্ট্রেলিয়া উড়ে গিয়েছেন ধবন এবং বাবা হিসাবে যথেষ্ট স্নেহশীল তিনি, যা আয়েশাও মেনে নিয়েছেন। পারিবারিক অশান্তির দোষ ধবন ও আয়েশা, দুজনের ওপরই প্রযোজ্য বলেও জানানো হয়েছে। আদালত বলেছে, 'অশান্তি তখনই হয় যখন একজন প্রশ্ন তোলে আর অপরজন তা গ্রাহ্য না করে।' পাশাপাশি বলা হয়, 'সন্তানকে না পাঠানোর মতো কোনও আশঙ্কার যৌক্তিকতা আদালতে প্রমাণ করতে পারেননি আয়েশা। কেন অস্ট্রেলিয়ার আদালতে ধবনের ওপর নজর রাখার জন্য মামলা করেছেন আয়েশা! আইন নিজের হাতে তুলে নিলে ধবন তো ভারতে আইনি সাহায্য়ই নিতেন না।'