নয়াদিল্লি: কী রয়েছে নরসিংহের ভাগ্যে? বৃহস্পতিবারও মিলল না সে প্রশ্নের উত্তর৷ বরং, কয়েকদিনের জন্য সুতোয় ঝুলে রইল এই কুস্তিগীরের ভাগ্য৷ শনিবার অথবা সোমবার চূড়ান্ত রায় দেবে ন্যাশনাল অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি৷

 

বুধবারই নাডার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির সামনে হাজিরা দিয়ে ডোপ-বিতর্কে নিজের বয়ান জানান নরসিংহ৷ আর বৃহস্পতিবার নরসিংহের ষড়যন্ত্র তত্ত্বের বিপক্ষে জোরাল সওয়াল করেন নাডার আইনজীবীরা৷ নাডার তরফে এদিন জানানো হয়েছে, এদিন ডোপ-বিতর্কের শুনানি শেষ হল৷ চূড়ান্ত রায় বের হবে শনিবার অথবা সোমবার৷ তবে, ডোপ বিতর্কে নরসিংহ ক্লিনচিট পাবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়৷

 

নরসিংহ ও তাঁর রাধুঁনির চন্দনের অভিযোগ, তাঁর খাবারে কোনও মাদক মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল৷ গত ৫ জুন এক ব্যক্তিকে তাঁর খাবারে কিছু মিশিয়ে দিতে দেখেছিলেন চন্দন৷ কিন্তু, সোনিপতে সাইয়ের ওই ক্যাম্পাসে ১০ দিনের বেশি সিসিটিভি ফুটেজ রাখা হয় না৷ ফলে, ওই দিনের ফুটেজ ইতিমধ্যেই হার্ড ডিস্ক থেকে মুছে গিয়েছে৷ ১৬ জুলাই ডোপ-পরীক্ষার ফলপ্রকাশ হয়৷ আর, তারপরই ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন নরসিংহ৷ ততদিনে সিসিটিভি ফুটেজ মুছে গিয়েছে৷

 

শুধু তাই নয়, নাডা-সূত্রের খবর, বায়োলজিক্যাল পাসপোর্ট খতিয়ে দেখার পর নরসিংহের উপর নজরদারি করার নির্দেশ দিয়েছিল ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি ডোপিং এজেন্সি বা ওয়াডা৷

 

কী এই বায়োলজিক্যাল পাসপোর্ট? নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে অ্যাথলিটদের দেহ থেকে রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে তা নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়৷ সেই পরীক্ষার ফলাফলের উপর কড়া নজরদারি চালায় ওয়াডা৷ নরসিংহের বায়োলজিক্যাল পাসপোর্ট খতিয়ে দেখে সন্দেহ হয় ওয়াডার৷ অলিম্পিকের বহু আগেই তাঁর উপর নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয় নাডাকে৷

 

নরসিংহের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করতে এদিন সোনিপতের সাই ক্যাম্পাসে গিয়ে পৌঁছয় পুলিশ৷ সাইয়ের কোচ ও অন্যান্য সাক্ষীদের এ-বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে তারা৷ কিন্তু, নরসিংহ-ডোপ বিতর্কে ক্লাইম্যাক্সে কী রয়েছে? ক্লিনচিট কি পাবেন উত্তরপ্রদেশের কুস্তিগীর? না, নতুন কোনও নাটক? জানতে কয়েকটা দিনের অপেক্ষা৷