নেপালে জন্মগ্রহণ করলেও জন্মানোর বছর দুয়েক পড়েই লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। ২০১৫-এ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণের জন্য নেপালে আসে সে।সঙ্গে ছিল তার মা গরিমা এবং ভাই সৌরেন। দেশে গিয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের কবলে পড়ে তারা।
আতঙ্কজনক সেই অভিজ্ঞতার কথা ভাবলেই শিউরে ওঠে গৌরিকা। সে জানিয়েছে, রাজধানী কাঠমান্ডুর একটা বহুতলের পাঁচতলায় ছিল তারা। কম্পনের সময় সেখান থেকে নামতে পারেননি। আতঙ্কের সেই ১০ মিনিট ঘরের মধ্যে টেবিলের নিচে কোনওরকমে কাটিয়েছিল তারা। আফটারশকের আগেই নিচে নেমে আসায় প্রাণে বেঁচে যান। গৌরিকা জানিয়েছেন, বহুতলটি নতুন তৈরি হওয়াতেই সম্ভবত পাশের অন্য বিল্ডিংগুলির মতো তাসের ঘরের ন্যায় ভেঙে পড়েনি। ওই বয়সেই বহু লাশের স্তুপ দেখতে হয়েছে তাকে। মৃত্যুকে খুব কাছ থেকে দেখেছে ১৩ বছরের মেয়েটি।
অলিম্পিকে পারফর্ম করার নিয়ে ভীষণই উচ্ছ্বসিত গৌরিকা। তিনি বলেন, প্রতমে তিনি ভেবেছিলেন তিনি প্রতিযোগিতায় হয়তো অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। কিন্তু মাস খানেক আগে যখন জানতে পারেন, ভীষণই অবাক হয়ে যান তিনি। মেয়ে সফল হবে বলেই বিশ্বাসী তাঁর বাবা পরশ। তিনি জানিয়েছেন, প্রত্যেকদিন ৪ টের সময় উঠে প্র্যাকটিস করে সে। রিওতে মেয়েকে সর্বক্ষণ সঙ্গ দেবেন তিনি। আগামী রবিবার অলিম্পিকে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোক প্রিলিমিনারিতে প্রথম পারফর্ম করবে গৌরিকা।