রিও দে জেনেইরো: বাড়িতে এক হ্রদ তৈরি করেই চরম বিপাকে ব্রাজিলিয়ান মহাতারকা নেমার (Neymar)। রিওর এক আদালত নেমারকে ৩.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ২৭.০৫ কোটি) জরিমানা। সোমবারই নেমারকে জরিমানা করার কথা জানানো হয়।


রিও দে জেনেইরোর মূল শহর থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরে মাঙ্গারাতিবারয় নেমারের বিলাসবহুল প্রাসাদ রয়েছে। ২০১৬ সালে নেমার এই প্রাসাদটা কেনেন। রিওর এই অংশটা ভ্রমণপিপাসুদের কাছে খুবই জনপ্রিয়। সেখানেই রয়েছে নেমারের বিলাসবহুল বাড়ি। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ১০ হাজার স্কোয়ার মিটারের এলাকা নিয়ে তৈরি এই প্রাসাদে হেলিপোর্ট, স্পা জিম রয়েছে। সেই প্রাসাদেই সরকারি অনুমতি ছাড়া নিজের প্রসাদে হ্রদ তৈরি করেছেন। পরিবেশগত লাইসেন্স থাকায় তাঁকে এত বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। পৌরনিগমের তরফে নেমারকে চারটি নিয়মভঙ্গের জন্য জকিমানা করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলা হয়, 'নিজের প্রাসাদে কৃত্রিম হ্রদ নির্মান করে পরিবেশজনিত নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন তারকা খেলোয়াড়।' 


নিয়ম ছাড়া হ্রদ খনন করা, কোনও অনুমতি ছাড়াই নদীর জলের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া, অবৈধ মাটি কাটার মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নেমারের কাছে এই শাস্তির বিরুদ্ধে আবেদন করার জন্য ২০ দিনের সময় রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একাধিক ছবির ভিত্তিতে ২২ জুন অভিযোগ করা হয়। নেমারের প্রাসাদে কৃত্রিম হ্রদ এবং বিচ তৈরি করা হচ্ছিল। তাঁর বাড়িতে গিয়ে তদন্ত করার পর একাধিক স্থানে নিয়মভঙ্গের হাতে নাতে প্রমাণ পান আধিকারিকরা।


এরপরেই আধিকারিকরা গোটা জায়গা ঘেরাও করে দেন এবং সমস্তরকম কাজকর্ম বিরত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ব্রাজিলিয়ান মিডিয়ায় দাবি করা হয় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেও, নেমার নাকি নিজের সেই প্রাসাদেই বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি করেন এবং সেই বিতর্কিত হ্রদে স্নানও করেন। নেমারের প্রতিনিধিরা কিন্তু এ বিষয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।


প্রসঙ্গত, গোটা বছরটাই নেমারের জন্য খুব একটা ভাল কাটেনি। নেমার এ বছরের শুরুর দিকেই গোড়ালিতে চোট পান। ফেব্রুয়ারির পর থেকে তিনি আর একটিও ম্যাচ খেলতে পারেননি। মার্চেই দোহাতে তাঁর অস্ত্রোপ্রচারও হয়। ৩১ বছরের নেমারের ভবিষ্যত নিয়েও জোর জল্পনা। প্যারিস সঁ জরমেঁ তিনি পরের মরশুমে থাকবেন কি না, সেই নিয়েও রয়েছ সন্দেহ। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন


https://t.me/abpanandaofficial


আরও পড়ুন: মাকড়ের কামড় ! সময় থাকতে চিকিৎসা না হলেই প্রাণঘাতী হতে পারে স্ক্রাব টাইফাস