দোহা: রেকর্ড গড়েও চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন। বিশ্বকাপে নামার আগে কিংবদন্তি পেলেকে ছােঁয়ার হাতছানি ছিল। এদিন ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে কাতার বিশ্বকাপে শেষ আটের ম্যাচে প্রথম গোলটি করে পেলেকে ছুঁয়ে ফেলেছিলেন। তবে ম্যাচ জিততে পারলেন না। বিশ্বজয়ের স্বপ্ন অধরাই থেকে গেল নেমারের। কাতার বিশ্বকাপে ইন্দ্রপতন। ২০০২ সালে শেষবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ব্রাজিল। সেই অপেক্ষা আরও বাড়ল। 


ম্য়াচের ২ অর্ধ মিলে কোনও দলই গোল পায়নি। এরপর অতিরিক্ত সময়ে ১০৫ মিনিটে নেমারের গোলে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। পাকুয়েতার সঙ্গে পাস খেলে গোল করেন নেমার। সঙ্গে সঙ্গেই পেলেকে ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। ১৯৫৭ থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত দেশের জার্সিতে পেলে মোট ৭৭ টি গোল করেছিলেন। ব্রাজিল ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে জয় পেয়েছিল ব্রাজিল। সেই দলের সদস্য ছিলেন পেলে। 


এই নিয়ে বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয়বার শেষ চারে জায়গা করে নিল ক্রোয়েশিয়া। একই সঙ্গে ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার পেনাল্টি শ্যুট আউটে হার ব্রাজিলের। ক্রোয়েশিয়া। সর্বাধিক ৪ বার পেনাল্টিতে জয় পেল ক্রোয়েশিয়া। তাদের সঙ্গে একই তালিকায় রয়েছে আর্জেন্তিনা, জার্মানি। আর গোটা ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার গোলরক্ষক লিভাকোভিচের কথা না বললেই নয়। গোটা ম্যাচে মোট ১২টি সেভ করেছেন তিনি। এর আগে জাপানকেও টাইব্রেকারে হারিয়ে শেষ আটে পৌঁছেছিলেন মদ্রিচরা। সেই ম্যাচেও নায়ক হয়েছিলেন ক্রোয়েশিয়ার এই তরুণ গোলরক্ষক। এদিন অতিরিক্ত সময় পিছিয়ে পড়ার পর ৭ মিনিটের মধ্যে ফের সমতা ফেরায় ক্রোয়েটরা। টাইব্রেকারে রডরিগোর শট বাঁচিয়ে দেন লিভাকোভিচ। অন্যদিকে মার্কুইনহোসের শট বাঁদিকের পোস্টে লেগে ফিরে আসে। এরপরই ক্রোয়েশিয়ার জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। 


 এর আগে ১০৫ মিনিটে পাকুয়েতার সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান পাস খেলে দুর্দান্ত গোল করেন নেমার। ব্রাজিলের জার্সিতে এই নিয়ে ৭৭ গোল করলেন নেমার। ছুঁলেন পেলেকে। এতদিন পেলে ছিলেন ব্রাজিলের সর্বাধিক গোলদাতা। এবার তাঁর সঙ্গে নেমারের নামও যুক্ত হল। ১১৭ মিনিটের মাথায় পাল্টা গোল করে খেলা জমিয়ে দেন ব্রুনো পেতকোভিচ। এই নিয়ে পরপর ২ বার বিশ্বকাপের সেমিতে পৌঁছল ক্রোয়েশিয়া।