নয়াদিল্লি: নিদাহাস ট্রফির রোমাঞ্চকর ফাইনালে শেষ ওভারের আগে ওভারে বোলিং করতে আসেন রুবেল হোসেন। ভারতের জয়ের জন্য তখন প্রয়োজন ছিল ১২ বলে ৩৪ রান। ওই মুহূর্তে দলের অন্যতম সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য বোলারের হাতে বল তুলে দিয়ে ভারতের ওপর চাপ আরও বাড়াতে চেয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ভরসা তো থাকবেই। কারণ, এর আগের তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন দু-দুটি উইকেট। ১৯ তম ওভারে ভারতের রান তিনি আটকে দিতে পারলে চূড়ান্ত ওভারে প্রয়োজনীয় রান সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে যাবে, এমনটাই ভেবেছিল বাংলাদেশ শিবির। কিন্তু হল ঠিক তার উল্টো। দীনেশ কার্তিকের মারকাটারি ব্যাটিং সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিল। প্রথম বলেই ছয় মারেন কার্তিক। তারপর আর তাঁকে রোখা যায়নি। পরের বলে চার, তৃতীয় বলে আবারও ছক্কা! পরের দুই বল থেকে এল ২। কিন্তু শেষ বলে আবারও চার মারেন কার্তিক। শেষপর্যন্ত ওই ওভারে ২২ রান দিলেন রুবেল। ফাইনালে বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা কার্যত ওই ওভারেই অনেকটাই কমে যায়। পরের ওভারটা তো ইতিহাস। সৌম্য সরকারের বল এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে ভারতের জয় নিশ্চিত করেন কার্তিক।
এভাবে বল হাতে দল তথা দলের সমর্থকদের হতাশ করার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন রুবেল।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, রুবেল বলেছেন, 'হারের পর খুব খারাপ লাগছে। সত্যি বলতে কি, কখনোই ভাবিনি আমার কারণে বাংলাদেশ দল জয়ের এত কাছে এসেও ম্যাচ থেকে এভাবে ছিটকে যাবে। দলের সমর্থকদের কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমাকে ক্ষমা করে দেবেন সবাই।’
সাকিব অবশ্য রুবেলের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক বলেছেন, সত্যি কথা বলতে কী, রুবেল পরিকল্পনা অনুযায়ীই বল করেছে। আসলে পুরো কৃতিত্বটাই দীনেশ কার্তিকের।