নয়াদিল্লি: দীনেশ কার্তিকের সংক্ষিপ্ত অথচ বিধ্বংসী ইনিংস, সেই সঙ্গে শেষ বলে অবিশ্বাস্য ছক্কা নিদাহাস ত্রিদেশীয় সিরিজে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছে। সৌম্য সরকারের বল এক্সট্রা কভারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ করেছেন কার্তিক। তাঁর এই অবিশ্বাস্য কীর্তিতে উচ্ছ্বসিত ভারতীয় সমর্থকরা। এরইমধ্যে দলের এক ক্রিকেটারকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করেছেন সমর্থকদের একাংশ। ওই ক্রিকেটার বিজয় শঙ্কর। তরুণ এই ক্রিকেটার দেশের হয়ে এই প্রথম কোনও টুর্নামেন্টে খেললেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনভিজ্ঞ বিজয় শঙ্কর ফাইনালে প্রয়োজনের মুহূর্তে শ্লথগতির ব্যাটিং করেছেন। তাঁর এই খেলায় আদৌ সন্তুষ্ট নন ওই সমর্থকরা।
শঙ্করকে দীনেশ কার্তিকের আগে ব্যাট করতে পাঠানো হয়। কিন্তু দলের প্রয়োজন মতো ইনিংসে গতি আনতে পারেননি তিনি। ১৯ বল খেলে মাত্র ১৭ রান করে একেবারে ইনিংসের শেষ বলের আগের বলে আউট হন তিনি। যে কোনও ক্রিকেটারেরই খারাপ দিন যেতে পারে। অনেক ভালো ব্যাটসম্যানও কখনও কখনও আটকে যেতে পারেন। খেলার এটাই নিয়ম।
গতকাল প্রতিশ্রুতিমান তরুণ অলরাউন্ডার শঙ্করের ক্ষেত্রেও তা হল। তাঁর ঢিমে ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচ প্রায় হাতছাড়া হতে বলেছিল। এজন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে ট্রোল করলেন সমর্থকদের একাংশ।



















১৬৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শিখর ধবন (১০) এবং সুরেশ রায়নাকে হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারত। ওই অবস্থায় ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং কে এল রাহুল। তাঁদের জুটিতে ৫১ রান ভারতকে ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। রাহুল ২৪ রান করে আউট হন। এরপর রোহিত টি ২০ তে তাঁর ১৪ তম হাফসেঞ্চুরি করে আউট হয়ে যান। তিনি করেন ৫৬ রান।
রোহিত যখন আউট হন তখন ১৩.২ ওভারে ভারত ৯৮ রানে তার উইকেট। জয়ের জন্য ৪০ বলে প্রয়োজন ৬৯ রান। ওই পরিস্থিতিতে কার্তিকের আগে টিম ম্যানেজমেন্ট শঙ্করকে ব্যাট করতে পাঠায়। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি তিনি। টাইমিং ঠিকঠাক করতে পারছিলেন না তিনি। যখন বাউন্ডারির দরকার তখন ক্রিজে আটকে যান শঙ্কর।
শেষপর্যন্ত কার্তিকের ইনিংসে ভর করে জয়ী হয় ভারত।