পারথ: নিজের শেষ টেস্ট সিরিজ। আর সেই সিরিজের প্রথম টেস্টে দুরন্ত শতরান হাঁকিয়েছেন ওয়ার্নার। ১৬৪ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি অজি ওপেনার। দুরন্ত এই ইনিংস খেলার পর ওয়ার্নার বলছেন যে সমালোকদের মুখ বন্ধ করতে রান করার থেকে ভাল কিছুই হয় না। এদিনের খেলা শেষে অভিজ্ঞ অজি তারকা বলেন, ''এটা আমার দায়িত্ব যে এখানে এসে রান করতে হবে। আমি ভীষণ খুশি যে কয়েকটি ছোট ছোট পার্টনারশিপ গড়তে পেরেছি। প্রথমে খাওয়াজার সঙ্গে ও পরে স্মিথের সঙ্গে পার্টনারশিপ গড়েছেন। এটা সত্যিই দারুণ অনুভূতি যে বোলারদের ওপর চাপ তৈরি করা ও বোর্ডে রান যোগ করা। স্কোরবোর্ডে রান যোগ করার থেকে ভাল কিছু হয় না সমালোচকদের মুখ বন্ধ করার ক্ষেত্রে।''
২১১ বলে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলার পথে নিজে ১৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন ওয়ার্নার। উল্লেখ্য, জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে ম্যাচ খেলেই লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। প্রথম টেস্টের জন্য অজ়ি দলে সুযোগও পেয়েছেন ওয়ার্নার। তবে সেই সিরিজ় শুরুর আগেই বিশ্বজয়ী প্রাক্তন সতীর্থকে বেনজির আক্রমণ জনসনের। কুখ্যাত 'স্যান্ডপেপারগেট'-র স্মৃতি উস্কে জনসন নিজের কলামে লেখেন, 'আমরা ডেভিড ওয়ার্নারের বিদায়ী সিরিজ়ের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি। কিন্তু আদৌ কেন এমনটা করছি কেউ বলতে পারবে আমায়? একজন ওপেনার যে টেস্টে রান পাচ্ছে না, সে নিজের ইচ্ছামতো বিদায় জানানোর সুযোগ কী করে পাচ্ছে। আর কোন যুক্তিতেই বা অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের সবথেকে কলঙ্কিত অধ্যায়ের অন্যতম প্রধান চরিত্র নায়কের মতো বিদায় পাওয়ার অধিকারী?' এদিনের ইনিংস খেলার পর কি জনসকেই এই কথাগুলো শোনালেন?
এটি আন্তর্জাতিক লাল বলের ক্রিকেটে ওয়ার্নারের ২৬তম শতরান। এই ১৬৪ রানের ইনিংসের সুবাদেই ওয়ার্নার টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক হয়ে গেলেন ওয়ার্নার। এই ইনিংসের সুবাদেই তিনি একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক লাল বলের ক্রিকেটে রান করার বিচারে ম্যাথু হেডেন (৮৬২৫) এবং মাইকেল ক্লার্ককে (৮৬৪৩) পিছনে ফেলে দিলেন ওয়ার্নার। ওয়ার্নার ১১০টি টেস্টে ২০০ ইনিংস খেলে ৮৬৫১ রান করে ফেলেছেন।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ওপেনিংয়ে উসমান খাওয়াজার সঙ্গে নেমেছিলেন ওয়ার্নার। ওপেনিং জুটিতে ১২৬ রান যোগ করেন ২ জনে মিলে। কিন্তু এরপরই ৪১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন খাওয়াজা। নিজের ইনিংসে ৬টি বাউন্ডারি হাঁকান বাঁহাতি অজি ওপেনার। ওয়ার্নাকে অবশ্য কোনওভাবেই প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখাতে পারেননি শাহিন আফ্রিদি, আগা সালমানরা।