দুবাই: আইসিসি গত বছরের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি একাদশে জায়গা পেলেন না কোনও ভারতীয়। শুধু ভারত থেকেই নয়, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কোনও প্লেয়ারই জায়গা পাননি প্রথম একাদশে। স্কোয়াডের অধিনায়ক নির্বাচিত করা হয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন বাবর। দলকে সেমিফাইনালে তোলার পেছনে তাঁর ব্যাট বড় ভূমিকা নিয়েছিল। এমনকী গোটা বছরে ২৯ ম্যাচ খেলে ৯৩৯ রান করেছিলেন। গড় ৩৭.৫৬। তার মধ্যে রয়েছে ১টি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফ সেঞ্চুরি। 


পাকিস্তানের বাবর আজম ছাড়াও উইকেট কিপার ব্যাটার মহম্মদ রিজওয়ান ও পেস বোলার শাহিন আফ্রিদি রয়েছেন তালিকায়। ২ অজি তারকা মিচেল মার্শ ও বোলার জশ হ্যাজেলউড রয়েছেন লিস্টে। ২৯ ম্যাচে রিজওয়ানের ঝুলিতে ২০২১ সালে ছিল ১৩২৬ রান। গড়ও ঈর্ষনীয়, ৭৩.৬৬। উইকেটের পেছনেও দুর্দান্ত ছিলেন রিজওয়ান। 


ইংল্যান্ডের জশ বাটলারকে রাখা হয়েছে প্রথম একাদশে রিজওয়ানের ওপেনিং পার্টনার হিসেবে। সেখানে চার নম্বরে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মার্করামকে ৪ নম্বর পজিশনে রাখা হয়েছে। তালিকায় আরও রয়েছেন ডেভিড মিলার। এছাড়াও তাবরেজ শামসি। এই ফর্ম্যাটে গত বছর সর্বাধিক উইকেটের মালিক ছিলেন তিনি। এছাড়াও শ্রীলঙ্কার হাসারাঙ্গা ও বাংলাদেশের মুস্তাফিজুর রহমান রয়েছেন বাকি ২ টি স্থানে।


উল্লেখ্য, আইসিসির এবারের বর্ষসেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটারের দৌড়ে ছিলেন বাটলার, মার্শ, রিজওয়ান। আইসিসির তরফে ৪ জনের নাম তালিকায় রাখা হয়েছিল কিছুদিন আগেই। তাঁরা হলেন, জশ বাটলার, মিচেল মার্শ, মহম্মদ রিজওয়ান ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম কারিগর। ফাইনালে লোয়ার অর্ডারের বদলে তিন নম্বরে নামানো হয়েছিল মার্শকে। ম্যাচ উইনিং ইনিংস খেলে দেশকে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন মার্শ। এছাড়া পুরো বছর জুড়েই দুর্দান্ত ব্য়াটিং করেছিলেন মার্শ। 


আরও পড়ুন: লড়াই করে রোহিত-কোহলিদের ৩ ম্যাচ পেল ইডেন