ওই সময় জয়ের গন্ধ পেয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠেছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। গ্যালারিতে তখন প্রায় প্রতি বলেই বাংলাদেশের দর্শকরা গর্জে উঠছেন। ওই অবস্থায় তিন ওভারের মধ্যে ২০ রান যোগ করে স্যান্টনার ও হেনরি দলকে জয়ের দোরগড়ায় নিয়ে যান। এরপর হেনরি বোল্ড হয়ে যান। ওই সময় নিউজিল্যান্ডের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল সাত রানের। হাতে দুই উইকেট।
চাপের মুখে মাথা ঠাণ্ডা রাখেন স্যান্টনার ও ফার্গুসন। অন্যদিকে, বাংলাদেশি বোলাররা দুটি ওয়াইড বল করেন। ফার্গুসনের ব্যাট থেকে আসে একটি বাউন্ডারি। এরপর স্যান্টনারও কভার বাউন্ডারিতে বল পাঠিয়ে ১৭ বল বাকি থাকতেই দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন।
টুর্নামেন্টে দুটি ম্যাচ খেলে দুটিতেই জিতল নিউজিল্যান্ড।
গতকালের দিনরাতের ম্যাচে উত্সবের মেজাজে ওভালের গ্যালারিতে ভিড় জমিয়েছিলেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দুরন্ত জয় বাংলাদেশের সমর্থকদের আশা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৪৪ রানে অল আউট হয়ে যায় তারা। দলের প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যান শুরুটা ভালো করলেও শেষপর্যন্ত বড় রান করতে পারেননি। বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ২০০ তম ম্যাচ খেলতে নেমে শাকিব আল হাসান সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন। তিনিই একমাত্র ব্যাটসম্যান যিনি ৩০-এর বেশি রান করেন।
দুরন্ত ফিল্ডিং সহ নিউজিল্যান্ডের বোলিং অ্যাটাক ছিল যথেষ্ট শৃঙ্খলাবদ্ধ। হেনতি ৪৭ রানে ৪ উইকেট দখল করেন। ট্রেন্ট বোল্ট দুটি এবং ফার্গুসন, গ্র্যান্ডহোম, স্যান্টনার একটি করে উইকেট নেন।
রান তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার মার্টিন গাপ্টিল (২৫) এবং কলিন মুনরো (২৪) শাকিবের শিকার হন। এরপর অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও রস টেলরের জুটি ১০৫ রান যোগ হয়। ৪০ রানে আউট হন উইলিয়ামসন। এরপর ল্যাথামও কোনও রান না করেই আউট হন। কিন্তু টেলর একদিক সামলে খেলতে থাকেন। ৮২ রান করে তিনি আউট হন।