কিউই দল তাঁদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করেছিল চলতি মাসের এক তারিখে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয় দিয়েই শুরু হয় নিউজিল্যান্ডের ২০১৯ বিশ্বকাপ সফর। এরপর বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান ম্যাচ জিতে ছয় দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে তাঁদের। বৃহস্পতিবার ভারতের বিরুদ্ধে নামার কথা ছিল কিউইদের। তবে বৃষ্টির কারণে খেলা তো দূর, টসই হল না। স্বাভাবিক কারণেই ‘হতাশ’ হয়েছেন কেন উইলিয়ামসনদের কোচ গ্যারি স্টিড। তাঁর কথায়, “ভারতের বিরুদ্ধে খেলা সবসময়ই উপভোগ্য। যখন আপনি এমন একটা ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে আসেন অথচ খেলা হয় না, তখন মানসিক ভাবে তা মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে কিছু পরিস্থিতির ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ থাকে না। সুতরাং আমাদের এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচেই ফোকাস করতে হবে।” আগামী বুধবার প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ব্ল্যাকক্যাপসরা।
অন্যদিকে, ভারতের পরের ম্যাচ ৭২ ঘণ্টার মাথায়। রবিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বিরাটের ভারত। যদিও ওই ম্যাচও বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতি একের পর এক খেলা পণ্ড হয়ে যাওয়ায় বিরক্তি রয়েছে ভারতীয় শিবিরে। তবে ভারতীয় দলের ফিল্ডিং কোচ শ্রীধরও মানছেন, আবহাওয়ার ওপর কাউরই হাত নেই। সেক্ষেত্রে পয়েন্ট ভাগাভাগি মেনে নিতেই হবে। তাছাড়া একটানা বৃষ্টিতে মাঠের অবস্থাও ভাল ছিল না। ‘স্কেটিং রিঙ্কের মতো অবস্থা’ হয়েছিল নটিংহ্যামের ক্রিকেট স্টেডিয়ামের। এমন স্লিপারি মাঠে খেলা হলে ক্রিকেটারদের চোট আঘাতের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, এরপরও রিজার্ভ ডে না থাকা নিয়ে আইসিসির বিরুদ্ধে এতটুকুও রাগ দেখালেন না দুই দেশের কোচেরা। তাঁরা সহমত, যেভাবে ক্রীড়াসূচি তৈরি হয়েছে, তাতে রিজার্ভ ডে রাখা কোনও ভাবেই বাস্তবোচিত নয়। উল্লেখ্য, আইসিসি-র তরফে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রতিটি বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচের জন্য রিজার্ভ ডে বরাদ্দ রাখা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। কেবল সেমিফাইনাল ও ফাইনালের জন্যই রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছে।