কলকাতা: ব্যাটে-বলে অপ্রতিরোধ্য ভারত। বিরাট কোহলির (Virat Kohli) জন্মদিন। কিং কোহলির ব্যাটে সেঞ্চুরি। আর শেষ পাতে মিষ্টির মত জাডেজার পাঁচ উইকেট দখল। যার ফলস্বরূপ ৩২৭  রান তাড়া করতে নেমে ৮৩ রানে অল আউট হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa)। ২৪৩ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিল রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) দল। এদিন প্রথমে ব্য়াটিং করতে নেমে ভারতীয় দল ৩২৬ রান বোর্ডে তুলেছিল। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৮৩ রানে অল আউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নিজের ৩৫ তম জন্মদিনে কেরিয়ারের ৪৯ তম ওয়ান ডে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সচিনকে ছুঁলেন বিরাট। অন্যদিকে বল হাতে পাঁচ উইকেট তুলে নিলেন রবীন্দ্র জাডেজা। এই নিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের আট ম্যাচে টানা আট ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিল টিম ইন্ডিয়া।


৩২৭ রানের লক্ষ্যমাত্রা। প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন আপের সবাই ফর্মে। ইডেনের গ্যালারির দর্শকরা হয়ত ভেবেছিলেন যে কঠিন লড়াই অপেক্ষা করবে। তবে কোথায় কী? ডি কক থেকে শুরু করে মিলার, ডুসেন, ক্লাসেন, মারক্রাম একে এক তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ল প্রোটিয়া ব্যাটিং লাইন আপ। শুরু করলেন সিরাজ। ফেরালেন ডি কককে। এরপর এমন ধাক্কা এলে যে সেখান থেকে আর উঠে দাঁড়াতে পারল না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইন আপ। সৌজন্যে রবীন্দ্র জাডেজা। একাই তুলে নিলেন ৫টি উইকেট। নিজের ৯ ওভারের স্পেলে দিলেন মাত্র ৩৩ রান। ২টি করে উইকেট নিলেন শামি, কুলদীপ। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান করলেন মার্কো ইয়েনসেন। মাত্র ১৪ রান করলেন তিনি। রাসি ভ্যান ডার ডুসেন ১১ রান করলেন। এছাড়া ক্লাসেন ১, মারক্রাম ৯ ও মিলার ১৩ রান করে প্যাভিলিয়ন ফিরলেন। মাত্র ২৭. ১ ওভারেই অল আউট হয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা।


এদিন শুরুতে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। রোহিতের ২৪ বলে ৪০ যদি শাকিরার হিপ হপ হয়ে থাকে, কোহলির ইনিংস যেন পণ্ডিত রবিশঙ্করের সেতার। যার প্রতিটি তারে বাঁধা সুরমূর্ছনা। ৩ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের ইনিংসে ১০টি বাউন্ডারি। উল্টো প্রান্তে দাঁড়িয়ে কখনও শ্রেয়স আইয়ার ৭টি ছক্কা মেরেছেন, তো কখনও সূর্যকুমার যাদব ৫ ছক্কায় রোশনাই ছড়িয়েছেন। বিরাট প্রলোভনে পা দেননি। তাঁর লক্ষ্য যেন ছিল আরও বড়। বিরাটের রবিবাসরীয় সেঞ্চুরি তাই চিনা এলইডি আলোর চমক নয়, হয়ে রইল হাজার মোমবাতির আলোর স্নিগ্ধতা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করে ভারত তুলল ৩২৬/৫। বিরাটের ১০১ রানের সাধক-সম ইনিংসের পাশে অবশ্য শ্রেয়সের ৭৭, সূর্যকুমারের ১৪ বলে ২২ ক্যামিও বা রবীন্দ্র জাডেজার ১৫ বলে ২৯ রানের ঝড়ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াল। ভারতকে পৌঁছে দিল রানের পাহাড়ে।