সন্দীপ সরকার, কলকাতা: প্রথমে নেদারল্যান্ডস। তারপর শ্রীলঙ্কা। বিশ্বকাপের (ODI World Cup) প্রথম দুই ম্যাচে জিতে পাকিস্তান (Pakistan Cricket Team) তখন আত্মবিশ্বাসের সপ্তম স্বর্গে। সেখান থেকে এক ধাক্কায় তাদের ভূলুণ্ঠিত করে ছেড়েছিল টিম ইন্ডিয়া। ১১৭ বল বাকি থাকতে, ৭ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়েছিলেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)।
তারপর থেকে বিশ্বকাপে আর কোনও ম্যাচ জেতেননি বাবর আজ়মরা। টানা চার ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে যে লজ্জা আর কখনও হজম করতে হয়নি পাক শিবিরকে।
ভারতের কাছে হারের ধাক্কাতেই কি বেসামাল হয়ে পড়ল পাকিস্তানের কাপ অভিযান? সোমবার ইডেন গার্ডেন্সের ভরা কনফারেন্স রুমে এবিপি আনন্দের প্রশ্ন শুনে পাকিস্তানের কোচ গ্র্যান্ট ব্র্যাডবার্ন বললেন, 'অবশ্যই না।' কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে হারের পরই তো রাতারাতি যেন সাধারণ দলে পরিণত হল পাকিস্তান! ব্র্যাডবার্ন বললেন, 'আমদাবাদের সেই ম্য়াচে আমাদের ক্রিকেটারদের নিয়ে চরম প্রত্যাশা ছিল সকলের। এর আগে কখনও এক লক্ষ ৩০ হাজার দর্শকের সামনে খেলার সুযোগ হয়নি আমাদের। দুর্দান্ত একটা অভিজ্ঞতা ছিল সেটা। তবে গোটা পদ্ধতিতে আমরা হতাশ।'
ব্যাখ্যা করলেন পাক কোচ। ব্র্যাডবার্ন বললেন, 'পারফরম্যান্সকে তো ব্যাটিং-বোলিং সব দিক থেকে দেখতে হয়। যখন দুই-ই ভাল হয়, আমরা ম্যাচ জিতি। সেই ম্যাচে আমরা ইনিংসকে দীর্ঘায়িত করতে পারিনি। আমদাবাদে আমাদের শুরুটা ভাল হয়েছিল। তবে পরের দিকে টপ অর্ডার ভাল খেলতে পারেনি। যাতে করে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা রান বোর্ডে তুলতে পারিনি। বল হাতে, ফিল্ডিংয়ে আমরা লড়াই করেছিলাম। তবে হাতে যথেষ্ট রান ছিল না। তবে সেই ম্যাচ নিয়ে কাটাছেঁড়া হয়েছে। কোন কোন জায়গায় ভাল করতে পারিনি, সেগুলো নির্ধারণ করা হয়েছিল। তারপর সেই জায়গাগুলোয় উন্নতি করার চেষ্টা করেছি।'
ভারতের কাছে হরারের শিক্ষা কাজে লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে যে পাকিস্তান মরিয়া, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন দলের কোচ। ব্র্যাডবার্ন বলেছেন, 'সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমরা শিখছি। ওই হার নিয়ে বসে নেই। দেখুন, আমাদের টুর্নামেন্টটা ভাল যায়নি। আমরা বুঝতে পারছি ভারতের মাটিতে কোথায় কী করতে হবে তার একটা সূক্ষ মাপ রয়েছে। আমাদের বোলিং আক্রমণ দারুণ। দলের সঙ্গে তো বটেই, যারা দেশে আছে তারাও দুরন্ত সব বোলার। আমাদের অস্ত্র হল স্যুইং। কিন্তু এখানে আমরা খুব একটা স্যুইং পাইনি। এখানে সম্পূর্ণ আলাদা বল। পরিবেশ আলাদা। এখানে বলের পালিশও অনেক তাড়াতাড়ি নষ্ট হচ্ছে। আমরা সঠিক জায়গায় বেশি বল করতে পারিনি। তাতে করে প্রতিপক্ষের ওপর বেশি চাপ তৈরি হয়নি।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন