কলকাতা: সুযোগ ছিল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে যাওয়ার। ওড়িশা এফসি-কে (Odisha FC) হারাতে পারলেই আইএসএল পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে পৌঁছে যেত মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট (Mohun Bagan Super Giant)। কিন্তু শনিবার গোলশূন্য ড্র করল দুই দল। অজস্র গোল নষ্টের খেসারত দিতে হল। আর্মান্দো সাদিকু (Armando Sadiku) একাই দুটি সোনার সুযোগ নষ্ট করেন। তা না হলে প্রথমার্ধেই এগিয়ে যেতে পারত মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ওড়িশাও ম্যাচ জিততে পারত। দিয়েগো মউরিসিওর শট ক্রসপিসে ধাক্কা খেয়ে ফিরে আসে।





শনিবার ম্য়াচের শুরু থেকে আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিল আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। এই প্রথমবার হাবাসের বিরুদ্ধে খেলতে নামলেন ওড়িশার রয় কৃষ্ণা। তাঁর সামনে চ্যালেঞ্জ ছিল নিজের পুরনো দলের বিরুদ্ধে গোল করার। কিন্তু শুরু থেকে ওড়িশাকে সেই সুযোগ দেয়নি সবুজ মেরুন শিবির। শুরু থেকে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ওড়িশা রক্ষণের ছোট ফাঁকের সুযোগ নিয়ে মোহনবাগান ফুটবলাররা আক্রমণের ঝড় তোলে।


প্রথমার্ধের ৫ মিনিটে গোলের জন্য বল পান সাদিকু। কিন্তু বিপক্ষের রক্ষণের জালে আটকে যান। তবে ম্য়াচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেও মোহনবাগান ম্যাচের রাশ হাতছাড়া করেনি। প্রথম ১৫ মিনিটে মোহনবাগান দাপট দেখানোর পর ম্য়াচের রাশ ধরে নেয় ওড়িশা এফসি। ১৬ মিনিটে ওড়িশার ইশাক রালতে গোলের জন্য এগিয়ে যান। আনোয়ারের পা থেকে একটি বল নিয়ে তিনি আক্রমণে যান। কিন্তু সুযোগ নষ্ট করেন।


 




ম্যাচের ১৯ মিনিটে ফের গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন সাদিকু। ২৪ মিনিটে নিশ্চিত গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন আর্মান্দো সাদিকু। ওড়িশার গোলকিপার অমরিন্দর সিংহকে একা পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু সঠিক সময়ে শট না নেওয়ায় গোল করতে পারেননি সাদিকু।


এই ড্রয়ের ফলে ১৫ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে থাকল মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট। ১৫ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে মুম্বই সিটি এফসি। ১৬ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট-সহ শীর্ষে ওড়িশা এফসি।



 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।