ম্যাঞ্চেস্টার: বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচের সময় ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামকে ‘নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করা হয়েছে। লিগ পর্বে হেডিংলিতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভারতের ম্যাচের সময় ভারত-বিরোধী স্লোগান লেখা ব্যানার নিয়ে উড়তে দেখা গিয়েছিল একটি বেসরকারি বিমানকে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আজ ওল্ড ট্র্যাফোর্ড স্টেডিয়ামকে নো ফ্লাই জোন’ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ইংল্যান্ড ও ওয়েলেস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) জানিয়েছে বিসিসিআই-কে।
ঘটনাক্রমের সঙ্গে ওয়াকিবহাল নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিসিআই-এর এক আধিকারিক বলেছেন, আমরা নিরাপত্তা ব্যবস্থার লঙ্ঘন ও আমাদের প্লেয়ারদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কথা স্পষ্টভাবে জানিয়েছিলাম। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ইসিবি ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের আকাশ সীমাকে আজকের দিনের জন্য ‘নো ফ্লাই জোন’ করা হয়েছে জানিয়ে সিইও রাহুল জোহরিকে চিঠি পাঠিয়েছে।
গত শনিবার ভারত বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচের সময় ব্র্যাডফোর্ড জোন থেকে ‘ইন্ডিয়া স্টপ মব লিঞ্চিং’, ‘জাস্টিস ফর কাশ্মীর’ লেখা ব্যানার সহ একটি বেসরকারি বিমানকে হেডিংলির আকাশে বেশ কয়েকবারই চক্কর কাটতে দেখা গিয়েছিল।
এই ঘটনা আইসিসি-র পক্ষে যথেষ্ট অস্বস্তিকর। নিরাপত্তা ব্যবস্থা লঙ্ঘনের মতো এটি দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ চলাকালে ‘জাস্টিস ফর বালুচিস্তান’ লেখা ব্যানার সহ একটি বিমানকে আকাশে উড়তে দেখা গিয়েছিল। ওই ম্যাচে স্টেডিয়াম চত্বরে ঝামেলার পর বেশ কিছু সমর্থককে সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়েছিল। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই ব্যানার লেখা বিমান উড়েছিল বলে মনে করা হচ্ছে।


এ ধরনের রাজনৈতিক স্লোগান আইসিসি-র বিধির পরিপন্থী।ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ার পুলিশ এ ধরনের স্লোগান মোকাবিলার ক্ষেত্রে আশ্বাস দিলেও কোনও চোখে পড়ার মতো ব্যবস্থা নেয়নি। এর ফলে আইসিসি-কে হতাশা প্রকাশ করতে হয়েছে।
প্রচারের জন্য কোনও বেসরকারি বিমান ভাড়ার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ নেই বলে জানা গিয়েছে। ব্র্যাডফোর্ডে প্রচুর সংখ্যায় পাকিস্তানি থাকেন।