নয়াদিল্লি: এর আগে কেউ কোনদিন যা করে দেখাতে পারেননি, সেটাই করেছেন মনু ভাকের (Manu Bhaker)। প্রথম ভারতীয় হিসাবে এক অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জিতে ইতিহাস গড়েছিলেন তারকা শ্যুটার। তবে তা সত্ত্বেও মেজর ধ্যানচাঁদ খেলরত্ন পুরস্কারের (Khel Ratna Awards) জন্য মনোনীত ক্রীড়াবিদদের তালিকায় তাঁর নাম নেই। এই নিয়ে চূড়ান্ত বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছিল। এবার সেই নিয়ে নিজের ক্ষোভ উগরে দিলেন মনুর বাবা রাম কিষণ।
পুরস্কারের তালিকা থেকে ব্রাত্য হওয়ার পর মনু নিজেও বলেছিলেন, 'আমার মনে হয়, আমি এই পুরস্কারের যোগ্য। দেশ না হয় এই বিষয়টা বিচার করুক।' দেশের ক্রীড়াবিদদের সর্বোচ্চ সম্মান খেলরত্ন। সেই পুরস্কারের জন্য তাঁর নাম তালিকায় না থাকায় তারকা শ্যুটার অত্যন্ত ভেঙে পড়েছিলেন, এমনকী তাঁর অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণ করাও উচিত হয়নি বলে আক্ষেপ করেছিলেন তিনি, এমনটাই জানালেন মনুর বাবা।
তাঁর বাবা বলেন, 'ও আমায় (আক্ষেপ করে) বলছিল আমার অলিম্পিক্সে গিয়ে দেশের হয়ে পদক জেতা উচিত হয়নি। এমনকী আমার মনে হয় আমার ক্রীড়াবিদ হওয়াই উচিত হয়নি।' শুধু কী আর মানুর গলায় আক্ষেপ! হতাশার সুর ধরা পড়ল মনুর বাবার গলাতেও। রাম কিষণ নিজের মেয়েকে শ্যুটার না বানিয়ে ক্রিকেটার বানালে কাজে দিত। তিনি বলেন, 'আমার উচিত ছিল ওকে এর পরিবর্তে ক্রিকেটার করা। তাহলে সব পুরস্কার, সম্মান, সবকিছু পেত ও। এক অলিম্পিক্সে জোড়া পদক জিতেছে ও। এর আগে সেটা কেউ করেননি। আমার সন্তানটা দেশের জন্য আর কীই বা করতে পারে? সরকারের তরফে ওর প্রচেষ্টাকে সম্মান জানানো উচিত।'
কেন্দ্রীয় ক্রীড়া মন্ত্রক অবশ্য দাবি করেছে যে, মনু ভাকের খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য আবেদনই করেননি। তবে সেই দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন মনু ভাকেরের বাবা। যিনি সাফ জানিয়েছেন যে, তাঁরা এই সম্মানের জন্য আবেদন করেছিলেন। যদিও কমিটির কাছ থেকে কোনও জবাব পাননি। ভারতীয় পুরুষ হকি দলের অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিংহ ও প্যারা অ্যাথলিট প্রবীণ কুমার খেলরত্ন পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন। এক আগে ২০২০ সালে অর্জুন পুরস্কার জিতেছিলেন মনু। ঘটনা হচ্ছে, চলতি বছর আবেদন না করা সত্ত্বেও অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন মহম্মদ শামি। সেই সময় অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড হস্তক্ষেপ করে শামির হয়ে সওয়াল করেছিল।
আরও পড়ুন: