প্যারিস: ইতিহাস গড়ে তিনি প্যারিস অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। ভারতের আর কোনও পুরুষ শাটলার অলিম্পিক্স ব্যাডমিন্টনের সিঙ্গলসে সেমিফাইনালে পৌঁছতে পারেননি। তবে রবিবার সেমিফাইনালে ভিক্টর অ্যাক্সেলসেনের কাছে হেরে যান লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)। সেই অ্যাক্সেলসেনই সোমবার পুরুষদের সিঙ্গলসে সোনা জিতলেন।
লক্ষ্যর সামনে সোমবারও ছিল ইতিহাস তৈরির হাতছানি। ভারতের প্রথম পুরুষ শাটলার হিসাবে অলিম্পিক্স পদক জেতার হাতছানি থিল লক্ষ্যর সামনে। এর আগে অলিম্পিক্স ব্যাডমিন্টন থেকে যে তিনটি পদক পেয়েছে ভারত, তার সবকটিই জিতেছেন মহিলা শাটলাররা। দুটি পি ভি সিন্ধু, একটি সাইনা নেহওয়াল। ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীরা স্বপ্ন দেখেছিলেন, লক্ষ্যর হাত ধরে পুরুষদের ব্যাডমিন্টনে পদক খরা কাটবে। তৈরি হবে ইতিহাস।
সোমবার মালয়েশিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী জি জিয়া লি-র বিরুদ্ধে লক্ষ্য প্রথম গেম জিতে যাওয়ার পর যে স্বপ্ন আরও রঙিন হয়। কিন্তু তারপরই ছন্দপতন। পরের দুই গেমই হেরে বসেন ভারতীয় তরুণ। কনুইয়ের চোট নিয়ে যিনি ম্য়াচটি খেললেন। কনুইয়ের ক্ষত ঢাকা ছিল টেপ দিয়ে। তবে ম্যাচ চলাকালীন ফের সেই জায়গায় আঘাত পান লক্ষ্য। ঝরঝর করে রক্তপাত শুরু হয়। খেলা থামিয়ে অন্তত দুবার হাতে মোটা করে ব্যান্ডেজ় বাঁধতে হয় লক্ষ্যকে।
ব্রোঞ্জের ম্যাচে পরাজয়ের পর লক্ষ্য জানিয়েছেন, কোর্টে রক্ত দেখে এবং বারবার শুশ্রূষা নিতে হওয়ায় তাঁর মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটেছিল। অলিম্পিক্সের সম্প্রচারকারী চ্যানেলে লক্ষ্য বলেন, 'আমি সুযোগ পেয়েছিলাম। দ্বিতীয় গেমে আরও ভাল খেলতে পারতাম। ও খুব ভাল খেলছিল। এই মুহূর্তে কথা বলার অবস্থায় নেই।' তারপরই লক্ষ্যকে কনুইয়ের চোট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ২২ বছরের তরুণ বলেন, 'কনুইয়ের ক্ষত থেকে রক্ত পড়ছিল। কোর্টে রক্ত দেখে বিচলিত হয়েছিলাম। বারবার শুশ্রূষা নিতে হচ্ছিল বলে ছন্দ একটু ধাক্কা তো খেয়েছিল বটেই। তবে আমি মনঃসংযোগ ফিরিয়ে খেলার চেষ্টা করেছিলাম।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।