প্যারিস: অলিম্পিক্সে (Olympics 2024) তিনি ভারতের অন্যতম সেরা বাজি। তিনি লক্ষ্যভেদ করতে পারলেই হাসি ফুটবে ১৪০ কোটি ভারতবাসীর মুখে। সেই দীপিকা কুমারীর (Deepika Kumari) তিরন্দাজির শুরুটা হয়েছিল ঢিল ছুড়ে গাছের আম পাড়তে পাড়তে?


ছোট থেকেই দস্যি ছিলেন দীপিকা। ডানপিটে মেয়ের আম পাড়ার নেশা ছিল তীব্র। বাড়ির আশেপাশে আমগাছ দেখলেই ঢিল দিয়ে নিশানা করতেন। লক্ষ্যভেদও করতেন। খুদে কন্যার নিশানা দেখে তাজ্জব হয়ে যেতেন পরিবারের সদস্য, পড়শিরা।


সেই থেকেই দীপিকাকে তিরন্দাজি শেখানোর ভাবনা। হাতে তীর ধনুক তুলে নিলেই যেন পাল্টে যেত ঝাড়খণ্ডের কন্যার চোখমুখ। শক্ত চোয়াল। অভ্রান্ত নিশানা। সাফল্যের ছটফটানি। প্রথমে জাতীয় স্তরে, তারপর আন্তর্জাতিক মঞ্চেও নিজের প্রতিভা মেলে ধরতে শুরু করেন দীপিকা।


২০১০ সাল। সেবার কমনওয়েলথ গেমসের আসর বসেছিল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে। সেই প্রতিযোগিতায় দু-দুটি সোনা জিতে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন দীপিকা। তার ২ বছর পর তুরস্কে এল আরও বড় সাফল্য। ২০১২ সালে তুরস্কের মাটি থেকে বিশ্বকাপ তিরন্দাজিতে ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জেতেন দীপিকা। 


ভারতীয় তিরন্দাজ নিজের চতুর্থ অলিম্পিক্সে নামছেন প্যারিসে। পরপর ৪টি অলিম্পিক্সে নামছেন তিনি। স্বামী অতনু দাসও তিরন্দাজ। কলকাতায় অতনুর সঙ্গেই ঘর বেঁধেছেন দীপিকা। ভালবাসেন বাঙালি খাবারও। নিজে সময় পেলে রান্নার কাজে শাশুড়িকে সাহায্য করেন।


 






১৯ মাসের কন্যাসন্তান বেদিকাকে রেখেই এবার প্যারিস রওনা হতে হয়েছে ভারতীয় তিরন্দাজকে। যে কারণে মন খারাপ দীপিকার। তবে তাংর একটাই স্বস্তি, মেয়ে তাঁর দাদু-দিদার কাছেও ভালই থাকে। দীপিকা অলিম্পিক্সে নামার আগে বলেছেন, 'সন্তানের থেকে দূরে থাকার কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তবে এতদিন ধরে যে কারণে এত পরিশ্রম করলাম, সেটাই বা ভুলে যাই কী করে।'


গোটা দেশ আপাতত দীপিকার পদক জয়ের স্বপ্নে বুঁদ।


আরও পড়ুন: ভারতকে হারাতে ভারতীয় কোচের কাছেই গোপন প্র্যাক্টিস! ফাঁস করলেন কিংবদন্তি জয়সূর্য






আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।