টোকিও: অলিম্পিক্সের যোগ্যতা অর্জন করেই ইতিহাস তৈরি করেছিলেন ভবানী দেবী। ভারতীয় খেলাধুলোর ইতিহাসে তাঁর হাত ধরেই প্রথমবার অলিম্পিক্স ফেন্সিংয়ে কেউ প্রতিনিধিত্ব করলেন। প্রথম রাউন্ডে জিতে আশা তৈরি করেছিলেন। তবে পরের রাউন্ডে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হেরে ছিটকে গেলেন ভবানী।
সোমবার সকালে শুরুটাও দুর্দান্তভাবে করেছিলেন ভারতীয় তারকা। ফেন্সিংয়ের মহিলাদের সাবার রাউন্ড অফ সিক্সটি ফোরে তিউনিশিয়ার নাদিয়া আজিজিকে ১৫-৩ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন ভবানী দেবী। ফেন্সিংয়ের নিয়ম অনুযায়ী প্রতিপক্ষের শিরস্ত্রাণ, মাথা, কোমর, কব্জি সহ শরীরের ওপরের অংশে নিজের তরোয়াল ছোঁয়াতে পারলেই পয়েন্ট মেলে। তিউনিশিয়ার প্রতিপক্ষকে রীতিমতো বিধ্বস্ত করে হারান ভবানী। যাঁর ফেন্সিংয়ে আসাটাও বেশ নাটকীয়। স্কুলে পড়াকালীন অনেকরকম খেলায় অংশ নিতেন। শেষ পর্যন্ত ফেন্সিংকে বেছে নেন পেশা হিসাবে।
দ্বিতীয় রাউন্ডেও চেন্নাইয়ের ভবানীকে ঘিরে স্বপ্ন তৈরি হয়েছিল দেশের। যদিও প্রতিপক্ষ ছিলেন ভীষণ কঠিন। বিশ্বের তিন নম্বর। ফ্রান্সের মানঁ ব্রুনের কাছে হেরে ফেন্সিং থেকে ছিটকে গেলেন ভবানী দেবী। প্রতিযোগিতায় চতুর্থ বাছাই মানঁ। রাউন্ড অফ ৩২-তে তাঁর কাছে ১৫-৭ ব্যবধানে হেরে গেলেন ভবানী।
সোমবার ভারতীয় সময় সকাল ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচে প্রথম সেটে কাজাখস্তানকে ৫৫-৫৪ ব্যবধানে হারান অতনুরা। ভারতীয়দের ৯, ৯, ৮, ৯, ১০ ও ১০ পয়েন্টের পাশাপাশি কাজাখস্তানের তিরন্দাজরা ১০, ৯, ৯, ৮, ৮ ও ১০ পয়েন্ট স্কোর করেন। ২-০ এগিয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় সেটও ৫২-৫১ পয়েন্টে জিতে নেন অতনু-প্রবীণ-তরুণদীপরা। এবং শুরুতেই ৪-০ সেটে এগিয়ে যায় ভারত।
পরের সেট অবশ্য ৫৭-৫৬ পয়েন্টে জিতে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় কাজাখস্তান। ৪-২ করে ম্যাচ। তবে শেষ সেটে ফের ৫৫-৫৪ পয়েন্টে জিতে যায় ভারত। সেই সঙ্গে ৬-২ সেট পয়েন্টে ম্যাচ জিতে নেয়। শেষ শটে জয় নিশ্চিত করার জন্য বাংলার তিরন্দাজ অতনু দাসকে পারফেক্ট টেন মারতেই হতো। ১০ পয়েন্টই করেন অতনু।