অকল্যান্ড: অলিম্পিক্স পদক কি ভাঙা প্রেম জোড়া লাগাতে পারে?
নিউজিল্যান্ডের হেডেন ওয়াইল্ড হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন। অলিম্পিক্স পদক যে তাঁর পুরনো সম্পর্ককে তরতাজা করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। কীভাবে?
কিউয়ি তারকা টোকিও অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়েছিলেন। পুরুষদের ব্যক্তিগত ট্রায়াথলনে তিনি ব্রোঞ্জ জিতেছেন। পদক জয়ের পর থেকে শুভেচ্ছাবার্তায় ভাসছেন ২৩ বছরের অ্য়াথলিট। তবে সবচেয়ে চমকে ওঠার মতো বার্তা পাঠিয়েছেন সম্ভবত তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকা। একটি টেলিভিশন চ্যানেল যাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
হাল্কা মেজাজে ওই চ্যানেলে হেডেনের প্রাক্তন বান্ধবী বলেছেন, 'তোমার সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় আমার বেশ আফশোসই হচ্ছে।' তিনি সাক্ষাৎকারে এ-ও জানান যে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে তাঁর ও হেডেনের বন্ধুত্ব। হেডেনের পদক জয়ে তিনি উচ্ছ্বসিত বলেও জানিয়েছেন ওই মহিলা। বলেছেন, 'আমি তোমার জন্য গর্বিত। ওই জায়গায় পৌঁছতে ওকে যে কত পরিশ্রম করতে হয়েছে তা আমি জানি। কত পরিণত হয়ে উঠেছে ও।'
তবে তাতে যে হেডেনের মন খুব একটা ভিজেছে, তা নয়। বরং পদক জয়ের পর তিনি জানিয়েছেন যে, তিনি ফোনে তাঁর বর্তমান পার্টনারের সঙ্গেই কথা বলতে চান। তিনি বলেছেন, 'আমি এখন আমার প্রেমিকাকে ফোন করব। ও এখন স্পেনে আছে। আমার খেলা দেখার জন্য ভোরবেলা উঠে পড়েছিল।'
ট্রায়াথলনে ব্রোঞ্জ জেতার পাশাপাশি হৃদয়ও স্পর্শ করেছেন হেডেন। তাঁর ইভেন্টে সোনা জিতেছেন নরওয়ের ক্রিস্টিয়ান ব্লামেনফেল্ট। রুপো জিতেছেন গ্রেট ব্রিটেনের অ্যালেক্স য়ি। ফিনিশিং লাইনে হেডেন ও ব্লামেনফেল্টের মধ্যে মাত্র ২০ সেকেন্ডের তফাত ছিল। প্রথম হওয়ার পরই ব্লামেনফেল্ট মাটিতে পড়ে যান। হেডেন ও অ্য়ালেক্স তখন সৌজন্য বিনিময় করছিলেন। ব্লামেনফেল্টকে পড়ে যেতে দেখেই দৌড়ে যান হেডেন। এক স্বেচ্ছাসেবীর সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করেন।
হেডেনের এটাই প্রথম অলিম্পিক্স। তাঁর ব্রোঞ্জই এখনও পর্যন্ত টোকিও অলিম্পিক্সে নিউজিল্যান্ডের জেতা একমাত্র পদক।