টোকিও: মেরি কমের হারের নেপথ্যে কি স্কোরিংয়ের কোনও গোলমাল? সংশয় তৈরি হল ছবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বক্সারের কোচের কথা। এবং সেই সংশয় আরও বাড়িয়ে দিলেন স্বয়ং মেরি। জানালেন, তিনি পয়েন্ট বিতরণ পদ্ধতির কিছুই বোঝেননি!


বৃহস্পতিবার মহিলাদের ফ্লাইওয়েট (৪৮-৫১ কেজি) বিভাগের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার ইনগ্রিট ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হেরে গেলেন ভারতীয় বক্সার। তিনটি রাউন্ডের মধ্যে প্রথম রাউন্ডে হারেন মেরি। তবে পরের দুই রাউন্ডে তিনি জেতেন। যদিও সকলকে বিস্মিত করে দিয়ে জানানো হয় যে, ম্যাচে জয়ী হয়েছেন কলম্বিয়ার ইনগ্রিট।


ম্যাচের শেষে মেরি কমের ট্রেনার ছোটেলাল যাদব বলেছেন, 'আমি এই স্কোরিং সিস্টেম বুঝি না। প্রথম রাউন্ডে দুই বক্সারের মধ্যে তফাত বলতে গেলে নেই। অথচ কী করে মেরি ৪-১ ব্যবধানে হারে! ভীষণ হতাশাজনক ফল। তবে এটাই হয়তো ভাগ্য।'


মেরি নিজে কী বলেছেন? ম্যাচের শেষে তিনি বলেন, 'আমি জানি না কী হল। প্রথম রাউন্ডে তো দুজনই একে অন্যের কৌশল বুঝতে ব্যস্ত ছিলাম। আর পরের দুটি রাউন্ডে আমি জিতি।'



মহিলাদের ফ্লাইওয়েট (৪৮-৫১ কেজি) বিভাগের প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার ইনগ্রিট ভ্যালেন্সিয়ার কাছে হেরে গেলেন ভারতীয় বক্সার। মজার ব্যাপার হল, তিন রাউন্ডের ম্যাচে দ্বিতীয় ও তৃতীয়, মোট দুটি রাউন্ড জেতেন মেরিই। তবু কেন হেরে বিদায় নিতে হল তাঁকে? কারণ প্রথম রাউন্ডে বিরাট ব্যবধানে পিছিয়ে পড়েছিলেন তিনি। সেই খামতি দূর করা তাঁর পক্ষে আর সম্ভব হয়নি।


ছ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নের অলিম্পিক্স পদক জয়ের স্বপ্নে ইতি টানলেন কলম্বিয়ার ইনগ্রিট। ম্যাচের পর তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন মেরি। ইনগ্রিটও আলিঙ্গন করলেন মেরিকে। মেরি হারলেও যে দুরন্ত লড়াই করলেন, তারই যেন স্বীকৃতি দিলেন বয়সে তাঁর চাইতে অনেক ছোট কলম্বিয়ার বক্সার।


বৃহস্পতিবার সকালে টোকিও অলিম্পিক্সে বক্সিংয়ে নিজের ম্যাচ জিতেছেন সতীশ কুমার। পুরুষদের বক্সিংয়ে ৯১ কেজি বিভাগে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেলেন তিনি। সতীশ হারালেন জামাইকার রিকার্ডো ব্রাওনকে। খেলার ফল সতীশের পক্ষে ৪-১। এদিন প্রথম থেকে সতর্ক ছিলেন সতীশ। কিন্তু ম্যাচে যত এগােচ্ছিল, ততই ছন্দ ফিরে পাচ্ছিলেন সতীশ। শেষ পর্যন্ত ম্যাচে জয় পান তিনি।