নয়াদিল্লি: তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছিল। ইডেনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের ডাগ আউটে তাঁকে দেখা যাবে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছিল সংশয়।


তবে স্বস্তি পেতে পারেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড সূত্রে খবর, সিএবি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পাশাপাশি দিল্লি ক্যাপিটালসের পরামর্শদাতার ভূমিকা সামলাতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কের। শুক্রবার ইডেনে শ্রেয়স আইয়ার-পৃথ্বী শ'দের ডাগ আউটে তাঁর উপস্থিতি নিয়েও কার্যত কোনও সমস্যা হবে না।

বোর্ড সূত্রে খবর, স্বার্থের সংঘাতের প্রসঙ্গে সৌরভের সঙ্গে আলাদা ভাবে কথা বলবেন বিসিসিআইয়ের অম্বাডসম্যান, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডি কে জৈন। তবে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে তাঁর চুক্তি নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলেই দাবি এক বোর্ড কর্তার।

কলকাতার তিন ক্রিকেটপ্রেমী - ভাস্বতী সান্তুয়া, রঞ্জিত শীল ও অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের পাঠানো চিঠির ভিত্তিতে সৌরভের বিরুদ্ধে স্বার্থ সংঘাতের অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন অম্বাডসম্যান। অভিযোগ অস্বীকার করে অম্বাডসম্যানকে নিজের বক্তব্য জানিয়েছিলেন সৌরভও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বোর্ডের এক কর্তা বলেছেন, "দিল্লির ডাগ আউটে সৌরভের বসা নিয়ে কোনও অনিশ্চয়তা নেই। যদিও ব্যাপারটা এখনও অম্বাডসম্যানের হাতে রয়েছে। তবে দিল্লির ডাগ আউটে সৌরভের উপস্থিতি আটকে যাওয়ার মতো কোনও নিয়ম নেই।" ওই কর্তা আরও বলেছেন, "তবে সৌরভ নিজে যদি অন্য কোথাও বসতে চায়, বসতে পারে। সেটা সম্পূর্ণ ওর সিদ্ধান্ত। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জৈন তো জানিয়েই দিয়েছেন, কোনও একটা ম্যাচ নিয়ে উনি চিন্তিত নন। তবে সৌরভের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলা হতে পারে। ঠিক যেমন হার্দিক পাণ্ড্য ও কে এল রাহুলের চিঠি পেয়েও তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন অম্বাডসম্যান। আসলে সৌরভের বিরোধী গোষ্ঠীর কিছু লোকজনের জন্যই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যদিও তাতে লাভ কিছু হবে না।"