কলকাতা: ১৫ অগাস্ট, সন্ধ্যা ৭.২৯। দু'বছর আগে ঠিক এই সময়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটে। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আচমকাই অবসর ঘোষণা করেছিলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি (MS Dhoni)। ধোনির যে ঘোষণার কোনও হদিশই ছিল না কারও কাছে।


দু'বছর আগে ভারতের ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসে কিংবদন্তি ধোনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সমস্ত ফর্ম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন। ধোনির আচমকা এই সিদ্ধান্তে চমকে গিয়েছিল গোটা দেশ। তবে ধোনির ঘোষণাটি ছিল একেবারে তাঁর নিজস্ব ধরনে। ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে নিজের প্রিয় গান, ম্যায় পল দো পল কা শায়ার হুঁ-র সঙ্গে অতীতের স্মৃতিমাখানো একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি লিখেছিলেন, ‘আপনাদের সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। সন্ধ্যা ৭.২৯ থেকে আমাকে অবসরপ্রাপ্ত হিসাবে বিবেচনা করুন’।


 






স্বাধীনতা দিবসের দিনই অবসর নিয়েছিলেন ধোনি। আর ধোনির অবসরের দিনটিকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আইসিসি-র তরফে একটি বিশেষ পোস্ট করা হয়েছে। ধোনির উদ্দেশে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সও।,






ক্রিকেট ইতিহাসে ধোনিই একমাত্র অধিনায়ক যিনি সমস্ত আইসিসি ট্রফি জিতেছেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত ২০০৭ সালে আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল। ২০১০ এবং ২০১৬ সালে এশিয়া কাপ, ২০১১ সালে ওয়ান ডে বিশ্বকাপ এবং ২০১৩ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল ভারত। কপিল দেবের পরে দ্বিতীয় ভারতীয় অধিনায়ক হিসেবে ২০১১ সালে তিনি আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে ভারতের ২৮ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছিলেন।


ধোনিকে এখনও সীমিত ওভারের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ফিনিশার হিসাবে কুর্নিশ করে বিশ্ব। প্রখর ক্রিকেটীয় বুদ্ধির একজন হিসাবে বিবেচিত হন ধোনি। ৩৫০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেন। ওয়ান ডে-তে ১৬ বছরের কেরিয়ারে ১০টি সেঞ্চুরি সহ ৫০.৫৭ গড়ে ১০,৭৭৩ রান করেছেন। তিনি ৯৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। ৩৭.৬০ গড়ে ১৬১৭ রান করেছেন টি-টোয়েন্টিতে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফরের ওয়ান ডে ম্যাচে উইকেটকিপার ব্যাটার হিসেবে ভারতের হয়ে অভিষেক হয়েছিল ধোনির। কেরিয়ারের পঞ্চম ওয়ান ডে ম্যাচে তিনি তাঁর প্রথম সেঞ্চুরি করেন।


আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে খোশমেজাজে সৌরভ, উত্তোলন করলেন জাতীয় পতাকা