এই দুই তরুণ সম্পর্কে বিরাট বলেছেন, ‘ওরা অবশ্যই প্রতিভাবান খেলোয়াড়। শুভমান এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট খেলার সুযোগ পায়নি। ও যখন সুযোগ পাবে, তখন কেমন পারফরম্যান্স দেখায়, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি। ও অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী তরুণ। পৃথ্বী টেস্টে ভাল পারফরম্যান্স দেখিয়েছে। কিন্তু ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথমবার খেলবে। ও কতটা উন্নতি করে, সেটা দেখতে চাই।’
২০১৮ সালে অভিষেক হওয়ার পর এখনও পর্যন্ত মাত্র চারটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন পৃথ্বী। তবে তার মধ্যেই তিনি একটি শতরান এবং দু’টি অর্ধশতরান করেছেন। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে অভিষেকেই তিনি শতরান ও একটি অর্ধশতরান করেন। এরপর টেস্টে তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতরান আসে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে। চোটের জন্য ২০১৮-১৯ মরসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে যেতে পারেননি এই তরুণ। এবার তিনি খেলার সুযোগ পাচ্ছেন।
প্রথম টেস্টের আগে দলের তরুণ ওপেনারদের উদ্দেশে বিরাটের বার্তা, ‘ওরা খোলামনে স্বাধীনভাবে খেলতে পারে। ওদের বলব, ২২ গজে গিয়ে নিজেদের দক্ষতা অনুযায়ী খেলো। সুযোগ পেলে সেটা কাজে লাগাতে হবে। সিনিয়রদের টেস্ট ক্রিকেটের দায়িত্ব ও বোঝা নিতে দাও। ওরা এই সিরিজে কেমন খেলে, সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।’
প্রথম টেস্টের দলে নেই কে এল রাহুল। পরের টেস্টে রোহিত শর্মা খেললে তখনও রাহুলের সুযোগ পাওয়া কঠিন। এ প্রসঙ্গে বিরাটের বক্তব্য, ‘দলের কম্বিনেশন ঠিক করতে গিয়ে নানা সিদ্ধান্ত নিতে হয়। রাহুল ভাল খেলোয়াড়। সেই কারণেই ওকে দলে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। দলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য কোনটা ভাল, সেটা দেখতে হয়। সবাই ভাল খেলছে। আমাদের দলে অনেকজন ভাল খেলোয়াড় আছে। হনুমা বিহারী বুঝিয়ে দিয়েছে, ও ভাল খেলোয়াড়। ওপেনার আছে আছে জেনেই কে এল-কে দলে নেওয়া হয়েছে। অপর এক ওপেনার রোহিতও দলে যোগ দেবে। ওকে কোথায়, কীভাবে কাজে লাগানো হবে, সেটা আমাদের পরিস্থিতি অনুযায়ী বিবেচনা করতে হবে।’