চেস্টার-লে-স্ট্রিট: দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নয় উইকেটে হেরে শ্রীলঙ্কার চলতি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে ওঠার আশায় কার্যত জল পড়ে গেল।
টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল। কোনওক্রমে মাত্র ২০৩ রান করে তারা। জবাবে ৭৬ বল বাকি থাকতে মাত্র এক উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
সাত ম্যাচ খেলে এখনও পর্যন্ত ছয় পয়েন্ট পেয়েছে শ্রীলঙ্কা। অঙ্কের হিসেব-নিকেশে শেষ চারে যাওয়ার ক্ষীণ আশা অবশ্য এখনও থাকছে শ্রীলঙ্কার। এজন্য প্রথমে তাদের বাকি দুটি ম্যাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ জুলাই) ও ভারতের (৬ জুলাই) বিরুদ্ধে জিততে হবে। এরপর গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলিতে অন্যান্য দলগুলির জয়-পরাজয়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। ফলে শ্রীলঙ্কার শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা যে খুবই ক্ষীণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্যদিকে, টুর্নামেন্ট থেকে ইতিমধ্যেই ছিটকে যাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এই জয় স্বস্তিদায়ক। আট ম্যাচে মাত্র দুটিতে জিতল তারা।
অল্প রানের লক্ষ্য কাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথমে কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারায়। তিনি ১৫ রান করে লাসিথ মালিঙ্গার বলে আউট হয়ে যান। দলের রান তখন ৩১। এরপর হাসিম আমলা ও অধিনায়ক ফাফ ডুপ্লেসিসের অবিচ্ছিন্ন ১৭৫ রানের জুটিতে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকা জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। ১০৩ বলে ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন ডুপ্লেসিস। অন্যদিকে আমরা ১০৫ বলে ৮০ রানে অপরাজিত থাকেন।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে। প্রথম বলেই উইকেট হারায় তারা। আউট হয়ে যান অধিনায়ক দিমুথ করুণারত্নে। এরপর ১০ ওভারের পর থেকে শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানকেই উইকেটে থিতু হতে দেননি প্রোটিয়া বোলাররা।
প্রথম একাদশে লুঙ্গি এনগিডির জায়গায় খেলতে নেমে পেসার ডোওয়েইন প্রিটারিয়াস ২৫ রানে ৩ উইকেট নেন। ক্রিস মরিস ৪৬ রানে ৩ এবং কাগিসো রাবাডা ৩৬ রানে দুই উইকেট নেন। এরপর কুশল পেরেরা (৩৪ বলে ৩০) এবং আভিষ্কা ফার্নান্ডো (২৯ বলে ৩০) পাল্টা লড়াইয়ের একটা চেষ্টা করেন। তাঁরা ৫৮ বলে ৬৭ রান যোগ করেন। ডানহাতি পেসার প্রিটারিয়াস দুজনকেই ফেরত পাঠান। ১১.৩ ওভারের মধ্যে শ্রীলঙ্কার রান দাঁড়ায় ৩ উইকেটে ৭২।
অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২৯ বলে ১১ রান করে আউট হয়ে যান। কুশল মেন্ডিস (৫১ বলে ২৩)ও প্রিটারিয়াসেসর শিকার হন।
ধনঞ্জয় ডি সিলভা (২৪), জীভা মেন্ডিস (১৮), থিসারা পেরেরা (২১) শুরুটা ভালো করেও থিতু হতে পারেননি।