সাউদাম্পটন: চলতি বিশ্বকাপে জো রুটের দ্বিতীয় শতরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হেলায় হারিয়ে দিল আয়োজক দেশ ইংল্যান্ড। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংরেজদের পেস ব্যাটারি আক্রমণে ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং লাইন আপ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাটসম্যান বাউন্সার-অস্ত্রে নাজেহাল করেছিল ক্যারিবিয়ান পেসাররা। শুক্রবার সেই অস্ত্রেই তাদের ঘায়েল করল ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণ। ইংল্যান্ডের পেস আক্রমণের সামনে ৪৪.৪ ওভারে ২১২ রানে গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।
এরপর রান তাড়া করতে নেমে ৩৩.১ ওভারে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড। জো রুচ ৯৪ বলে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন। একদিনের কেরিয়ারের ১৬ তম সেঞ্চুরি ইনিংসে রুট ১১ টি বাউন্ডারি মেরেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের নিকোলাস পূরন (৬৩) ছাড়া অন্য অন্য কোনও ব্যাটসম্যান ক্রিজে টিকে থেকে লড়াই করতে পারেননি। পূরণের একদিনের ক্রিকেটে এটাই প্রথম হাফসেঞ্চুরি। শিমরন হেটমেয়ার ৩৯ রান করেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে তাঁরা ৮৯ রান যোগ করেন।
যে উইকেটে ধৈর্য্য ধরে খেলা দরকার ছিল সেখানে ক্রিস গেইল (৩৬) ও আন্দ্রে রাসেলের মতো ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানরা উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।তাঁদের টি ২০-র ধাঁচে ব্যাটিংয়ের খেসারত ওয়েস্ট ইন্ডিজকে দিতে হল।
ইংল্যান্ডের তরুণ পেসার জোফরা আর্চার (৩০ রানে ৩ উইকেট) ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের বেকায়দায় ফেলে দেন। এছাড়াও মার্ক উড (১৮ রানে ৩ উইকেট), ক্রিস ওকস (১৬ রানে ১ উইকেট) এবং লিয়াম প্লুাঙ্কেট (৩০ রানে ১ উইকেট)-এর মতো বোলাররাও দাপট দেখান।
স্বল্পরানের পুঁজি নিয়ে বোলিং শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নেওয়া। কিন্তু রুট ও জনি বেয়ারস্টো (৪৫) তাদের আশায় জল ঢেলে দেন। তাঁদের জুটিতে ওঠে ৯১ রান। এরপর ওকস (৪০) রুটকে সঙ্গত দিয়ে যান।