সিডনি: রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। দুরন্ত লড়়াই ২ দলের। শেষ পর্যন্ত মুখে হাসি পাকিস্তানের। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup 2022) সেমিফাইনালে খেলতে নেমেছিল বাবর আজমের দল। সেই ম্যাচে  জয় ছিনিয়ে নিল পাকিস্তান। প্রথমে শাহিন শাহ আফ্রিদির (Saheen Shah Sfridi) নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও পরে বাবর আজম, মহম্মদ রিজওয়ানের দুরন্ত অর্ধশতরানের ওপর ভর করে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দিল পাকিস্তান। ২০০৯ সালের পর ফের একবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল তারা। 


ফর্মে ফিরেই বাজিমাত বাবর, রিজওয়ানের


পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপের প্রধান স্তম্ভ বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান। কিন্তু চলতি বিশ্বকাপে শেষ পাঁচ ম্যাচে ২ জনের কেউই বড় রান করতে পারেননি। সেমিফাইনালের মঞ্চটাই বোধহয় ভেবে রেখেছিলেন ২ জনে জ্বলে ওঠার জন্য। সেই মতোই ১৫৩ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই এদিন আক্রণাত্মক মেজাজে ব্যাটিং করছিলেন। ২ জনে মিলে বোর্ডে একশো রানের বেশি বোর্ডে তুলে দেন। ২ জনেই এদিন অর্ধশতরান হাঁকালেন। বাবর ৭টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। ৫ টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৪৩ বলে ৫৭ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মহম্মদ রিজওয়ান। তবে ততক্ষণে জয় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য় প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান। 


এর আগে সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো স্কোর বোর্ডে তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। সৌজন্যে, ডারিল মিচেল ও কেন উইলিয়ামসনের ব্যাট হাতে প্রতিরোধ। ৪২ বলে ৪৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেন উইলিয়ামসন। আর ডারিল মিচেল করলেন ঝকঝকে হাফসেঞ্চুরি। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড তুলল ১৫২/৪। প্রথমার্ধে পাক বোলারদের সামনে মাথা তুলতে পারেননি নিউজিল্যান্ডের কেউই। প্রথম ওভারেই নাটক। প্রথম বলেই শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বাউন্ডারি ফিন অ্যালেনের। দ্বিতীয় বলে তাঁকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। তবে ডিআরএস নেন ফিন। দেখা যায়, বল তাঁর ব্যাটে লেগে তারপর প্যাডে লেগেছে। পরের বলে ফের তাঁকে এলবিডব্লিউ দেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়েও এবার জীবনরক্ষা হয়নি ফিনের। ফেরেন ৪ রান করে। ১ ওভারের শেষে নিউজিল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ৬/১।


তারপর রান আউট হয়ে ফেরেন ডেভন কনওয়ে। দুরন্ত ছন্দে থাকা গ্লেন ফিলিপসও উইকেটে থাকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৪৯/৩ হয়ে যাওয়ার পর প্রতিরোধ গড়ে তোলেন উইলিয়ামসন ও ডারিল মিচেল। উইলিয়ামসন ফিরলেও মিচেল ৩৫ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। পাক বোলারদের মধ্যে শাহিন শাহ আফ্রিদি ২ উইকেট নেন। একটি উইকেট মহম্মদ নওয়াজের।