পার্থ: টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে অফিশিয়ালি এখনও বিদায় হয়নি। কিন্তু পরপর ২ ম্যাচ জিতে কিছুটা কোণঠাসা ছিল পাকিস্তান। শেষ পর্যন্ত এবারের টুর্নামেন্টে প্রথম জয় ছিনিয়ে নিল বাবর আজমের দল। ৬ উইকেটে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে দিল পাকিস্তান। 


এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু পাকিস্তানের বোলারদের আঁটোসাটো বোলিংয়ের সামনে কেউই বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। দলের হয়ে কলিন অকারম্যান ২৭ রান করেন। তিনিই নেদারল্যান্ডসের সর্বােচ্চ রান সংগ্রহকারী। পাক বোলারদের মধ্যে শাদাব খান ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন। মহম্মদ ওয়াসিম ৩ ওভারে ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। ১০০ রানও বোর্ডে তুলতে পারেনি নেদারল্যান্ডস। ২০ ওভারে ৯১/৯ বোর্ডে তুলতে পারে তারা। 


জবাবে ব্য়াট করতে নেমে বাবর আজম মাত্র ৪ রান করে রান আউট হয়ে ফিরে যান। তবে মহম্মদ রিজওয়ান, ফাখর জামান ও শান মাসুদ মিলে দলের জয় নিশ্চিত করে দেন। রিজওয়ান ৪৯ রান করেন। ১৩.৫ ওভারেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় পাকিস্তান। 


জয় বাংলাদেশের


কাজে দিল না সন উইলিয়ামসের (Sean Williams) অনবদ্য অর্ধশতরান। ১৫০ রানের পুঁজি নিয়েই হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জিম্বাবোয়েকে তিন রানে পরাজিত করল বাংলাদেশ (BAN vs ZIM)। বল হাতে ফের একবার বাংলা টাইগারদের হয়ে অনবদ্য পারফর্ম করলেন তাসকিন আমেদ (Taskin Ahmed)। বাংলাদেশের তারকা ফাস্ট বোলার তিন উইকেট নেন। দুইটি কর উইকেট পেয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন এবং মুস্তাফিজুর রহমান। 


নাটকীয় শেষ ওভার


শেষ ওভারে জিম্বাবোয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৬ রানের। একসময় যখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ ম্যাচ সহজেই জিতে নেবে। তখনই মোসাদ্দেক হোসেনের  ওভারের তৃতীয় বল লেগ বাইয়ে চার হয় এবং চতুর্থ বলে ছক্কা হাঁকান রিচার্ড এনগারাভা। তারপরের বলেই অবশ্য তিনি আউট হলে ম্যাচের মোড় ফের বাংলাদেশের দিকে ঘুরে যায়। নাটকের শেষ এখানেও হয়নি। ইনিংসের শেষ বলে জিম্বাবোয়ের জয়ের জন্য় ৫ রানের প্রয়োজন ছিল। মুজারাবানি এগিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে স্টাপ আউট হন, বা সঠিকভাবে বলতে গেলে সবাই ভেবেছিল তিনি স্টাম্প আউট হয়েছেন।


আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সচিন. জয়বর্ধনের যুগ্ম রেকর্ড ভাঙার হাতছানি বিরাটের সামনে